সোমবার ● ২ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » পরামর্শক কমিটিকে সরকার নিজেরাই নিস্ক্রিয় করে রেখেছে : সাইফুল হক
পরামর্শক কমিটিকে সরকার নিজেরাই নিস্ক্রিয় করে রেখেছে : সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন করোনা মহামারীজনীত সংক্রমণ ও মৃত্যর ভয়াবহ উর্ধগতিতে কথিত কঠোর লকডাউনে সরকারের একের পর এক স্বেচ্ছাচারী,সমন্বয়হীন ও অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে একদিকে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, আর অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ গারমেন্টস শ্রমিকসহ শ্রমজীবী - মেহনতি সাধারণ মানুষের জীবনে অবর্ননীয় দুর্দশা নেমে এসেছে। গত দেড় বছরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলেছে। সরকারের এসব স্ববিরোধী, আত্মঘাতী ও উদ্ভট সিদ্ধান্তের দায়দায়িত্ব নিতে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।এখন কেউই এসব ভূল ও হঠকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের দায়িত্ব নিচ্ছেন না।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, লকডাউনে গণপরিবহন যখন বন্ধ তখন শ্রমিকেরা কিভাবে ২৪ ঘন্টার নোটিশে দূর দূরান্ত থেকে কারখানায় পৌঁছাবে সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের মাথায় এটা না থাকা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। কারখানার মালিকদের কাছে কেন সরকারকে এভাবে নতি স্বীকার করতে হবে,গারমেন্টস মালিকেরাই কি সরকার চালাচ্ছে ?
তিনি বলেন, মহামারীর মধ্যে যে ১৫ টি শর্তে গারমেন্টস চালু করা হয়েছে অধিকাংশ কারখানায় তার বিশেষ কোন বালাই নেই। এই ব্যাপারে কারখানা পরিদর্শকদের উপযুক্তভাবে দায়িত্ব পালন করতেও দেখা যাচ্ছে না।
বিবৃতিতে তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, মহামারী দূর্যোগ মোকাবেলায় সরকার জাতীয় পর্যায়ে যেসব পরামর্শক কমিটি গঠন করেছে তাদের মতামত ও পরামর্শসমূহও বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। এসব পরামর্শক কমিটিকেও সরকার নিজেরাই এখন অপ্রয়োজনীয় ও প্রায় নিস্ক্রিয় করে রেখেছে। রাজনৈতিক ও বিশেষ কোটারী স্বার্থে মহামারী নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যেয়ে ইতিমধ্যে পরিস্থিতিকে তারা বিপদসীমা বহু উপরে নিয়ে গেছে, মানুষের জীবন - জীবিকাকে চরম ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। করোনাজনীত এসব মৃত্যুর দায় দায়িত্ব অবশ্যই সরকারের।
বিবৃতিতে তিনি অনতিবিলম্বে এসব স্ববিরোধী, হঠকারী, আত্মঘাতী, খামখেয়ালি ও সমন্বয়হীন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে পরামর্শক কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত ও পরামর্শসমূহ বিবেচনায় নিয়ে মহামারী দূর্যোগ উত্তরণের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেবার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
একই সাথে তিনি বিরোধী রাজনৈতিক দল ও জনগণকে আস্থায় নিয়ে মহামারী মোকাবেলায় সামাজিক উদ্যোগ জোরদার করারও দাবি জানান।
তিনি শ্রমজীবী - মেহনতিসহ ১৮ বছরের উপর দেশের সবাইকে গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসারও আহবান জানান।