সোমবার ● ১৫ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিন : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের পক্ষ থেকে আজ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে গতকাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক সিরাজুম মুনিরার গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানানো হয়েছে এবং বলা হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে ও সরকারের সমালোচনার কন্ঠরোধ করতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত নিবর্তনমূলক আইনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। যৌক্তিক ও সাধারণ সমালোচনা বন্ধ করতেও সরকারের দমননীতির অংশ হিসাবে এই কালো আইনকে কাজে লাগানো হচ্ছে। সাংবাদিক, লেখক, নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক, কাটুর্নিষ্ট, শিক্ষকদেকেও এই আইনে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয় একটি মহামারী দুর্যোগে জনগণের বিভিন্ন অংশের মতামত ও সমালোচনাকে আমলে নেয়া যখন বেশী জরুরী তখন মতপ্রকাশের ন্যূনতম স্বাধীনতাকে হরণ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ সরকারের নার্ভাসনেস ও দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ। বিবৃতিতে বলা হয় এখনও পর্যন্ত এই আইনে কারারুদ্ধ দিদার, কিশোর, মুশতাক ও সাংবাদিক কাজলকে মুক্তি দেয়া হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে তিন মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় দমন-নিপীড়ন, গ্রেফতার ও জেলে ঢুকিয়ে অতীতে কোন স্বৈরশাসক যেমন শেষ রক্ষা করতে পারেনি। বর্তমান সরকার নিপীড়নের পথে শেষ রক্ষা করতে পারবে না।
বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে সিরাজুম মুনিরাসহ কারারুদ্ধ নাগরিকদের মুক্তি দেবার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে দমনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাতিল করারও দাবি জানানো হয়।
সিলেটের সাবেক মেয়র কামরানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ
রাজনৈতিক পরিষদের বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ নেতা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদরুদ্দীন আহমেদ কামরানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে তাকে বিনয়ী, বন্ধু বৎসল ও পরমতসহিষ্ণু নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তার শোকার্ত পরিবার ও গুণগ্রাহীদের প্রতি সহানুভূতি জানানো হয়।
বাজেটে কৃষি ও গ্রামীণ খাতের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে : বিপ্লবী কৃষক সংহতি
ঢাকা :: বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন শান্ত ও আবু লাহাব নাইুদ্দীন আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে কৃষি ও গ্রামীণ খাত প্রতারণার শিকার হয়েছে। দেশের মোট শ্রমশক্তির ৪৩ শতাংশ যে খাতের উপর নির্ভরশীল এবং এই করোনা মহামারীকালে যে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি দেশের মানুষকে করোনা মহামারীকাল যে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি দেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে সেই গুরুত্বপূর্ণ খাত অর্থনমন্ত্রী তথা সরকারের মনোযোগের বাইরে রয়ে গেছে। চলতি বাজেটে ২৭ হাজার ২৩ কোটি টাকার বিপরীতে এবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র ২৯ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। এটা মোট বাজেটের মাত ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বাজেট কমপক্ষে তিনগুণ করা জরুরী ছিল। তারা বলেন, বৈশি^ক করোনা দুর্যোগে দেশের রপ্তানীখাত যেখানে সংকুচিত হয়ে যাবার আশঙ্কা এবং প্রবাসীদের পাঠানো অর্থও যেখান হ্রাস পাবার ঝুঁকিতে রয়েছে সেখানে মহামারীজনিত দুর্যোগ উত্তরণে এই খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাজেটে আরো গুরুত্ব দেয়া জরুরী ছিল।
নেতৃবৃন্দ নানা ধলনের চাপে থেকেও এবারও কৃষক বাম্পার ফসল দিয়েছে। সরকার কৃষককে লাভজনক মূল্য ও নগদ প্রণোদনা দেবার পরিবর্তে পরোক্ষভাবে তাদেরকে শাস্তি দেবার ব্যবস্থা করেছে। পোল্ট্রি, দুগ্ধ, মৎস্য, তাঁতসহ কৃষি ও উদ্যোগসমূহ যে পরিমান প্রণোদনা ও সহযোগিতা পাবার কথা এ থেকেও তারা বঞ্চিত হয়েছে।
তারা উল্লেখ করেন সরকার কৃষিখাতে যে ভর্তুকী প্রদান করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সুফল থেকে কৃষকেরা বঞ্চিত হয়। চুরি, দুর্নীতি, দলীয়করণ আর অব্যবস্থার কারণে প্রকৃত চাষীরা ঠকতেই থাকে। তাছাড়া কৃষি বাজারে প্রকৃত উৎপাদক চাষীর শক্তিশালী অবস্থান না থাকায় কৃষক কিনতেও ঠকে, আবার বেচতেও ঠকে। কৃষি বাজারে ফড়িয়া-মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্বের কারণে কৃষির উদ্বৃত্ত কৃষিখাতে পুনঃবিনিয়োগ হয় না।
নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতিতে কৃষিখাতের বাজেট প্রত্যাখান করেন এবং কৃষি ও গ্রামীণ খাতের পুনরুজ্জীবনের জন্য সমগ্র বাজেট প্রস্তাবনা ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানান।