সোমবার ● ৫ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » খাদ্য ও নগদ অর্থ না দিয়ে শ্রমজীবী মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বলা অমানবিক
খাদ্য ও নগদ অর্থ না দিয়ে শ্রমজীবী মানুষকে ঘরবন্দি থাকতে বলা অমানবিক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ৫ জুলাই ২০২১ সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে শ্রমজীবী মানুষের জন্য খাদ্য ও নগদ অর্থ সহযোগিতা না দিয়ে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী দিয়ে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা সরকারের নিষ্ঠুর অমানবিক চরিত্রের প্রকাশ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বলছে জীবন বাঁচাতে কঠোর লকডাউন অর্থাৎ সকলকে ঘরে থাকতে হবে। এটা হয়তো ঠিক করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হলে লকডাউনের দরকার আছে কিন্তু যে শ্রমজীবী মানুষ দিন আনে দিন খায়, হাত চললে পেট চলে এমন হতদরিদ্র মানুষের খাবার নিশ্চয়তা বিধান না করে সেনাবাহিনী পুলিশ দিয়ে কি মানুষকে ঘরবন্দী করে রাখা যাবে। ১ জুলাই থেকে গত ৫ দিনে এটা স্পষ্ট যে খাবার না দিলে মানুষ করোনার ভয়ে ঘরে বন্দি থাকবে না, থাকছে না। অসংখ্য মানুষ জীবীকার তাগিদে বাইরে বেরুচ্ছে, প্রতিদিনই এ সংখ্যা বাড়ছে। আর বাইরে রাস্তায় বেরুলেই হতে হচ্ছে নির্যাতন ও হয়রানীর স্বীকার। প্রতিদিনই গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়ছে। লকডাউনে আয় না থাকায় শ্রমজীবী মানুষের আত্মহত্যাও বাড়ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২ সপ্তাহ লকডাউনের জন্য একটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, ২ লিটার তেল এবং নগদ ৫০০ টাকা করে দিলে মোট ২০০০/২৫০০ হাজার টাকা অর্থাৎ ২ কোটি মানুষের জন্য মোট ৫/৬ হাজার কোটির প্রয়োজন হতো। এ টাকা দেয়ার সামর্থ কি সরকারের নেই। ৬ লক্ষ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট যে সরকার করতে পারে সে কি এ টাকা দিতে পারবে না। আসলে এটা সামর্থ্যরে ব্যাপার না দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। বর্তমান সরকার তো জনগণের সরকার না, লুটপাটকারী ধনিক বণিকদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার কঠোর লকডাউনে গণপরিবহনসহ সবকিছু বন্ধ রাখলেও পোশাক কারখানা খোলা রেখেছে। যদিও বলা হয়েছে মালিকেরা শ্রমিকদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু ২/১ টি বড় কারখানা ছাড়া কেউই শ্রমিকের যাতায়তের ব্যবস্থা করেনি। এজন্য সরকারের কোন তদারকিও নাই। ফলে পোশাক শ্রমিকদের দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে কষ্ট করে যেতে হচ্ছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ যে পোশাক মালিকেরা পরিবহন ব্যবস্থা করেনি তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং পোশাক শ্রমিকদের পরিবহন, টেস্ট ও টিকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান।