শুক্রবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » জাতীয় » খেতাব বাতিলের রাজনীতি দেশে রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজন আরো বাড়িয়ে তুলবে
খেতাব বাতিলের রাজনীতি দেশে রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজন আরো বাড়িয়ে তুলবে
ঢাকা :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের তৎপরতাকে অবিবেচনাপ্রসূত ও হীনমন্যতার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন এই ধরনের পদক্ষেপ দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের গৌরব ও মর্যাদাকে খাটো করবে। তিনি বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিভেদ-বিভাজনকে আরো বাড়িয়ে তুলবে এবং রাজনীতিতে বিদ্যমান বিরোধ- বৈরীতাকে আরো উস্কিয়ে দেবে। এই পরিস্থিতি দেশের বিদ্যমান সংকটকে আরো ঘনীভূত করতে পারে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক ভূমিকার জন্য যদি বীরউত্তমসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব বা পদবী বাতিল করতে হয় তা অনেক অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দেবে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তখনও প্রতিহিংসামূলক এই ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলে তা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগঁাঁথাকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে যাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ জনগণই তাদের ব্যাপারে মূল্যায়ন করবে। বেআইনী বা অন্যায় কাজের সাথে কেউ যুক্ত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেবারও সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এ কারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের সাহসী ভূমিকা মুছে ফেলার সুযোগ নেই। জাতি হিসাবে তা আমাদের জন্য দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করবে না।
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর বাংলাদেশকে আজ যখন স্বাধীনতার ঘোষণার তিন অঙ্গীকার সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ৭২’র সংবিধানের চার মূলনীতির বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়ে পাকিস্তানী জমানার মত একদেশে দুই সমাজ আর দুই অর্থনীতি কায়েম করা হয়েছে তখন খেতাব আর পদক বাতিলের রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাকে আড়াল করার সামিল।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পরও মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা যায়নি এবং অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের পরিপূর্ণ সম্মানও জানানো যায়নি। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সামনে রেখে এসব ব্যাপারেই সরকারের মনযোগ প্রদানের আহ্বান জানান। তিনি রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব বাতিলের তৎপরতা থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।