বৃহস্পতিবার ● ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত বাকস্বাধীনতা হরণ করতেই মুক্ত চিন্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট
নাগরিকদের সংবিধান স্বীকৃত বাকস্বাধীনতা হরণ করতেই মুক্ত চিন্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট
ঢাকা :: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মুস্তাক আহমেদ ও রাষ্ট্রচিন্তার সংগঠক দিদারুল ভূূঁইয়ার বিরুদ্ধে চার্জশীট জমা দেবার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং বলেছেন নাগরিকদের বাকস্বাধীনতা হরণ করতেই সরকারি পরিকল্পনার অংশ হিসাবে হয়রানিমূলকভাবে পুলিশ কর্তৃক এই অভিযোগপত্র প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভাষার সাথে বাকস্বাধীনতা হরণকারী এই ধরনের তৎপরতা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, চিন্তা, কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা জনগণের সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার, কোন অজুহাতেই এই অধিকার হরণ করার অবকাশ নেই।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নাগরিক হয়রানি ও নিপীড়নের যে আশঙ্কা ছিল সরকার সেটাকেই এখন সত্য প্রমাণ করে চলেছে। সরকারের ন্যায্য ও যৌক্তিক কোন সমালোচনাকেই তারা বরদাসত করতে পারছে না। সাধারণ সত্য প্রকাশেও তারা আতঙ্কিত হয়ে উঠছে। কারণ সরকারের পিছনে জনম্যাণ্ডেট না থাকায় দমন করেই তারা সকল ভিন্নমতকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। নিজেদের দুঃশাসন আর অপরাজনীতির কারণে সমালোচকদেরকে তারা বন্ধু মনে করতে পারছে না। সরকারের সমালোচনাকে রাষ্ট্রদ্রোহীতা হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। মুখে সরকার গণতন্ত্রের কথা বললেও বাস্তবে রাজনৈতিক বিরোধীতা নির্মূলকরেই তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মত কালো আইন প্রবর্তন করেছে।
বিবৃতিতে তিনি আহমেদ কবির কিশোর, মুস্তাক আহমেদ ও দিদারুল ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিময়ূলক চার্জশীট প্রত্যাহার করার দাবি জানান। একই সাথে তিনি নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করারও আহ্বান জানান।