সোমবার ● ২১ ডিসেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করা সেই ভোটকে বৈধতা মধ্য দিয়ে সিইসি নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সকল ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে
৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করা সেই ভোটকে বৈধতা মধ্য দিয়ে সিইসি নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সকল ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে
ঢাকা :: সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদ মোবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউসিএলবি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন আজ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য নিম্নলিখিত বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দিনের ভোট রাতে করা এবং সেই ভোটকে বৈধতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন তার সকল ধরণের বিশ্বাসযোগ্যতা ও বৈধতা হারিয়েছে। ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর গণশুনানিতে ভোট ডাকাতির নির্বাচনের আয়োজক এ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, এ নির্বাচন কমিশন শুধু মাত্র তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি। তারা নানা রকম অনিয়ম, দুর্নীতি, অসদাচরণ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে যা ইতোমধ্যে সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা বক্তৃতা না দিয়ে বক্তা হিসেবে দুই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি। একজন নির্বাচন কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনেছেন। ইভিএম ক্রয় ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই কমিশন নৈতিকভাবে স্খলিত। এরা ইতোমধ্যে অবাধ নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এরা ক্ষমতাসীনদের হয়ে ভোট ডাকাতির নির্বাচন আয়োজন করেছে। এই নির্চাচন কমিশনের আর কোন নির্বাচন পরিচালনার বৈধ নৈতিক কর্তৃত্ব অবশিষ্ট নাই। সেই কারণে বাম জোট নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে অবিলম্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বরখাস্ত করার আহ্বান জানান।