সোমবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ধর্ষক, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও অসৎ ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের স্বস্তি ও শান্তি কেড়ে নিয়েছে : নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী
ধর্ষক, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ ও অসৎ ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের স্বস্তি ও শান্তি কেড়ে নিয়েছে : নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী
ঢাকা :: শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখ জামালী ধর্ষক, নারী ও শিশু নিপীড়কদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন এবং বলেছেন কেবল আইন পাশ করে ধর্ষণ-নারী নিপীড়ন বন্ধ করা যাবে না। তিনি বলেন, বেশীরভাগ ধর্ষক-নারী নিপীড়কেরা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় থাকার কারণে এরা বেপরোয়া। তিনি এসব দুর্বৃত্ত ও সমাজ বিরোধীদের মদদ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ আর মুনাফাখোর বাজার সিণ্ডিকেটের হোতারা দেশের মানুষকে রীতিমত জিম্মি করে ফেলেছে। দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তরা করোনা মহামারীকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে। তিনি বলেন, বাজারের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরি মনিটরিং ব্যবস্থা বলেও কিছু নেই। বাজারের অবস্থা দেখলে মনে হয় না দেশে কোন সরকার আছে। অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রায় প্রতিটি ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে অসৎ ব্যবসায়ীরা মানুষের পকেট থেকে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা কেটে নিচ্ছে। তিনি এসব অশুভ চক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেন।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
সংগঠনের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে এই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, রোকসানা বেগম, মাহমুদা আকতার মুক্তি, নূরজাহান বেগম, তিথি সুবর্না, জাহানারা চাকলাদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে সংহতি বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, খেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকবর খান, এ্যাপোলো জামালী, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, পাদুকা শ্রমিক নেতা ইমরান হোসেন, ছাত্র সংহতির জোনায়েত হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে সাইফুল হক বলেন, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধানও দেশে ধর্ষণ বন্ধ করতে পারেনি। কারণ এসব আইনের তেমন কোন কার্যকারীতা নেই। তিনি বলেন, ধর্ষক ও নিপীড়কদের প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মদদদান বন্ধ না হলে এদের বেপরোয়া অপরাধ চলতেই থাকবে। তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক শক্তি না থাকায় সামাজিক নৈরাজ্যের ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে। ধর্ষক, সন্ত্রাসী, মাফিয়া ও দুর্নীতিবাজেরা সাধারণ মানুষের স্বস্তি ও নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছে। এক রাষ্ট্রের মধ্যেই এরা অনেক ছোট ছোট রাষ্ট্র গড়ে তুলেছে। প্রশাসনকে হাত করে এরা যা খুশী তাই করছে। দেশের মানুষকে রক্ষায় তাই আজ রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ বেগবান করতে হবে।