বৃহস্পতিবার ● ২ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবিঘর » সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে শ্রমিকের দাম
সব জিনিসের দাম বাড়লেও কমেছে শ্রমিকের দাম
মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ সকালে বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্ট সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, দেশে সব জিনিসের দাম বাড়লেও কেবল কমেছে শ্রমিকের দাম,তাদের শ্রমশক্তির দাম।ভোটের ব্যবস্থা না থাকায় রাজনৈতিক দলের কাছে শ্রমিকদের গুরুত্ব কমেছে। ভোট ব্যবস্থা নষ্ট হওয়ায় শ্রমিকেরা আরও ক্ষমতাহীন, আরও মর্যাদাহীন, আরও গরীব হয়েছে।তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল শ্রমিকদেরকে ব্যবহার করে, কিন্তু তাদের অধিকারের পক্ষে অবস্থান নেয়না।তিনি বলেন, সরকার ও মালিক শ্রমিকদেরকে কেবল উৎপাদন বাড়াতে বলে, কিন্তু তাদের মানবিক দাবিসমূহ নিশ্চিত করে না।
তিনি বলেন,এই দাবদাহে সবচেয়ে কষ্টে আছে শ্রমিকেরা।অস্বাভাবিক গরমে শ্রমিকদের কাজ ও আয় দুটোই কমে গেছে। অসংখ্য শ্রমিক পরিবারের জীবনে দূর্যোগ নেমে এসেছে। তিনি এই দূর্যোগ মোকাবিলায় শ্রমিক পরিবার পিছু আগামী তিনমাস নগদ ৫ হাজার করে প্রদান করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, জীবনযাত্রার অস্বাভাবিক ব্যয় বৃদ্ধির কারণে দেশের শ্রমজীবী - মেহনতী মানুষকে আজ চরম দুঃসহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। শ্রমিকদের প্রকৃত আয় কমে গেছে।শ্রমিক পরিবারসমূহের খাদ্যগ্রহণ কমে গেছে। ট্রেড ইউনিয়নসহ তাদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত নয়।বিদ্যমান শ্রম আইনও শ্রমিকদের অনুকুলে নয়।শ্রমিকদের বাঁচার ন্যায্য আন্দোলনকে মালিকেরা ষড়যন্ত্র হিসাবে প্রচার করে।
তিনি এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে শ্রমজীবী - মেহনতিদের বৃহত্তর ঐক্য ও আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। পাশাপাশি তিনি অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের বাঁচার মত মজুরি, রেশনিং ব্যবস্থা ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী, বিপ্লবী পাদুকা শ্রমিক সংহতির সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতি কবি জামাল সিকদার, বিপ্লবী গারমেন্টস শ্রমিক সংহতি সালাউদ্দিন আহমেদ, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির নেতা নুরুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান রুবেল, নান্টু দাস প্রমুখ।
আলোচনা সভার পর বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির মে দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালী সেগুনবাগিচা,বিজয়নগর ও তোপখানা রোড প্রদক্ষিণ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।