শিরোনাম:
●   সরকারকে সংস্কার, নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে ●   বাতিল হওয়া স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই ●   দীপংকর তালুকদার এর বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ ●   রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী ●   ৭১ এর চেতনায় ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ধারণ করতে হবে ●   নবউত্থিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নষ্ট করতেই ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয় ●   শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ লক্ষ লক্ষ শহীদদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটেছে ●   বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি জেলা কমিটির কাউন্সিলে সভাপতি নির্মল বড়ুয়া মিলন, সম্পাদক জুঁই চাকমা ●   ফটিকছড়িতে সম্মিলিত বৌদ্ধ সমাজের নতুন অফিস উদ্বোধন ●   সংস্কার ছাড়া গতানুগতিক নির্বাচন বিশেষ কোন কাজে আসবেনা : ডঃ তোফায়েল আহমেদ
ঢাকা, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

Kaler Dabi – কালের দাবী – Online News Portal in Bangladesh
সোমবার ● ৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা : বাম জোটের অনলাইন মতবিনিময় সভায় আলোচকগণ
প্রথম পাতা » ছবিঘর » স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা : বাম জোটের অনলাইন মতবিনিময় সভায় আলোচকগণ
৫৮৯ বার পঠিত
সোমবার ● ৮ জুন ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা : বাম জোটের অনলাইন মতবিনিময় সভায় আলোচকগণ

---ঢাকা :: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে আজ ৩০ মে শনিবার সকাল ১১টায় “করোনাকালের অর্থনীতি-করোনাত্তোর অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং আগামী বাজেটে অগ্রাধিকার খাত কি হওয়া উচিৎ” শীর্ষক এক অনলাইন মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর জনাব সালেহ্ উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক মঈনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, সিপিডি’র সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, বিআইডিএস এর গবেষণা পরিচালক ড. বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমিন্দ নিলোর্মী ডালিয়া এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাদিুল ইসলাম সেলিম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জুনায়েদ সাকী, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা আলমগীর হোসেন দুলাল, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক।
মতবিনিময় সভায় আলোচকগণ বলেন, এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিপর্যয় করোনা সংক্রমণ শুধু স্বাস্থ্য খাতে রাষ্ট্রের অবহেলা ও মানুষের অসহায়ত্ব তুলে ধরেছে তাই নয়, উন্মোচন করেছে উন্নয়নের গল্প ও অর্থনীতির দুর্বলতা কোথায়। আমাদের অর্থনীতি যে ৪টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে অর্থাৎ রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, কৃষি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। করোনা সংক্রমণের কালে এর প্রত্যেকটিই সংকটের মুখে। রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আয় করে যে খাত সেই গার্মেন্টস খাতের নড়বড়ে চেহারা আর মালিকদের দায় না নেবার মানসিকতা থেকে এটা পরিস্কার হয়েছে যে প্রণোদনা, মুনাফা আর শ্রম শোষণের মধ্য দিয়ে যে খাতের বিকাশ, অর্থনৈতিক দুর্যোগে তাঁরা কতটা সুযোগ সন্ধানী। ৪০ বছরের শিল্প মাত্র ৩ মাসে এতটাই কাহিল হয়ে পড়েছে যে রাষ্ট্রের প্রণোদনা অর্থাৎ জনগণের টাকা ছাড়া সে উঠে দাঁড়াতে পারছে না। এবার প্রমাণ হলো গার্মেন্টস খাত এমন এক বৃক্ষ যে সে ফুল ফল তো দূরের কথা ছায়া দেয়ারও ক্ষমতা রাখে না।
এই করোনায় দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে সবচেয়ে উপেক্ষিত খাত বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক। শুধু ভাতের সংস্থান করা নয়, সবজি, মাছ, ডিম, মুরগি, দুধ, মাংস, ফল কোন কিছুর-ই অভাব বোধ করতে দেয়নি যে খাত, গত বাজেটেও সবচেয়ে উপেক্ষিত ছিল সে। মাত্র ৩.৫ শতাংশ বরাদ্দ। ধানের ন্যায্য মুল্য না পাওয়া, সবজি চাষির দুঃখ, মৌসুমি ফল নিয়ে বিড়ম্বনায় উৎপাদক, পোলট্রি খামারির দুর্ভোগ, দুগ্ধ চাষি বিপাকে এসব ছিল পত্রিকার নিয়মিত হেড লাইন।
দেশের অর্থনীতির আর একটি বড় চালিকাশক্তি অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। দেশের অর্থনৈতিক আয়তনের ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে এই খাতের শ্রমজীবীরা। তাদের কাজ নাই তো মজুরি নাই। গত ৪ মাসে তাদের জীবন কীভাবে কেটেছে তার বর্ণনা দেয়া কঠিন। ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, আর সবমিলিয়ে চুরিচামারিসহ দেড় লাখ টন চাল ছিল বরাদ্দ। ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তির সাড়ে পাঁচ কোটিই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের। তাঁরা কতটুকু সহায়তা পেয়েছে তার হিসেব বের করা কঠিন। করোনা এদেরকে নিন্মেবিত্ত থেকে দরিদ্রের কাতারে নামিয়ে এনেছে। নতুন পুরাতন মিলে দরিদ্র সীমায় পৌছানো জনসংখ্যার ৪৩%।
চিকিৎসা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে বহু বছর ধরে। জিডিপির হিসেবে ১ শতাংশের কম ০.৯% যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্ব নিম্ন। নিজের টাকায় চিকিৎসার খরচ নির্বাহ করার দিক থেকে বাংলাদেশের জনগণ সর্বোচ্চ খরচকারি। করোনায় কেন মানুষ টেস্ট করতে চায় না তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। একজনের টেস্ট করাতে সবমিলিয়ে ৫ হাজার টাকা এবং হয়রানির কথা এবং মাসিক আয়ের কথা তুলনামুলকভাবে আলোচনা করলে তা স্পষ্ট হতে বাকি থাকবে না।
প্রবাসী আয়েও বড় ধাক্কা আসবে করোনার কালে। এর ফলে রেমিটেন্সও কমে যাবে বলে আশংকা রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী শ্রমিক যাওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি। সরকারের ভূমিকা নগণ্য, রিক্রুটিং এজেন্সির নামে মানব রপ্তানির ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া প্রভাব এখানে। প্রতিবছর গড়ে ৮ লাখ যুবক-যুবতী কাজের সন্ধানে দেশের বাইরে যেত সেটা তো কমবে সাথে সাথে ফিরে আসা শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে। ১ কোটির বেশি প্রবাসী শ্রমিকের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফেরৎ আসবে। সৌদি থেকেই ১০ লাখ।
করোনা বিপর্যয় সামাল দিতে সরকার যে লক্ষাধিক কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা খেয়াল করলে দেখা যাবে সামগ্রীক অর্থনীতির ও সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ জনগণের বিষয়গুলো সেখানে তেমন গুরুত্ব পায়নি, যতটা গুরুত্ব পেয়েছে বড় ও মাঝারি শিল্প ও ব্যবসা খাত।
প্যাকেজ ১ : ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা দেওয়া, ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল দেওয়ার লক্ষ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সংশ্লিষ্ট শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেওয়া। এ ঋণসুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের অর্ধেক অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণগ্রহীতা শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
প্যাকেজ ২: ক্ষুদ্র (কুটিরশিল্পসহ) ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান : ব্যাংকব্যবস্থার মাধ্যমে স্বল্প সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল প্রদানের লক্ষ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার একটি ঋণসুবিধা প্রণয়ন করা হবে। ব্যাংক-ক্লায়েন্ট রিলেশনসের ভিত্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণ দেবে। এ ঋণসুবিধার সুদের হারও হবে ৯ শতাংশ। ঋণের ৪ শতাংশ সুদ ঋণগ্রহীতা শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিশোধ করবে এবং অবশিষ্ট ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসাবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
প্যাকেজ ৩: বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো : বণ্টক টু বণ্টক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইডিএফের বর্তমান আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে। ফলে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ অতিরিক্ত ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ইডিএফ তহবিলে যুক্ত হবে। ইডিএফের বর্তমান সুদের হার খওইঙজ + ১.৫ শতাংশ (যা প্রকৃত পক্ষে ২.৭৩ %) থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
প্যাকেজ ৪: প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন ঋণসুবিধা চালু করবে। এ ঋণসুবিধার সুদের হার হবে ৭ শতাংশ।
প্যাকেজ ৫: এর আগে রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি আপৎকালীন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সব প্যাকেজের মধ্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এপ্রিল মাস থেকে ৩ মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের পরিকল্পনা ছিল। যদিও তার বাস্তবায়ন তেমন করে চোখে পড়েনি। কৃষি খাতেও ৫ হাজার কোটি টাকার যে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যায় রপ্তানি শিল্পে ঋণ প্রণোদনায় সুদ ২% অথচ কৃষি ঋণ প্রনোদনায় সুদ ৪%। তাছাড়া ৪ একর জমির মালিক ঋণ পাবে আড়াই লাখ টাকা অথচ কৃষি পণ্য ব্যবসায়ী পাবে ৫ কোটি টাকা। এ থেকে বুঝা যায় সরকারের অগ্রাধিকার কাদের দিকে।
এ পরিস্থিতিতে ১১ জুন ২০২০ আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট আসছে। বাজেট তো শুধু অর্থনীতির হিসেব নিকেশ নয় বাজেট একটি অর্থনৈতিক দর্শনও বটে। বাজেটে কে গুরুত্ব পাবে আর কে গুরুত্ব হারাবে তা নির্ধারিত হয় রাজনৈতিক দর্শন দ্বারা। বিগত বছরগুলোতে ঋণ খেলাপি, ব্যাংক ডাকাত, টাকা পাচারকারিরা সমস্ত ধরণের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে এসেছে। এবারের বাজেটেও কি সেই ধারা অব্যাহত থাকবে? এ প্রশ্ন বাজেটের প্রাক্কালে খুবই সঙ্গত। ধারণা করা হচ্ছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ কোটি টাকার বেশি আকারের বাজেট হবে এ বছর।
মতবিনিময় সভায় করোনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা, সকলের খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গবেষনা, সামাজিক নিরাপত্তা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। কৃষিতে জিডিপি’র ১২%, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৩%, শিক্ষা খাতে জিডিপির ৮%, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুন করার দাবি জানানো হয়। একই সাথে মতবিনিময় সভা থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃতির দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময় সভা থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন ৪০% কর্তনের নিন্দা জানিয়ে তা বাতিল এবং রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ৪০% কর্তন, আগামী বাজেটে সরকারি অপচয় কমানো, ব্যয়বহুল রূপপুর প্রকল্পসহ অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ রাখা, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করে তা বন্ধ করা এবং মুক্তবাজারী অর্থনীতি পরিহার করে জনকল্যাণের অর্থনীতির নিয়ম মেনে আগামী বাজেট প্রণয়ন ও অনুৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ কমিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য খাতের বেহাল দশা উল্লেখ করে আলোচকগণ বলেন, বেসরাকরি খাতকে যে দেশে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সেখানে করোনায় মানুষের ক্ষতি হয়েছে বেশি, যেখানে রাষ্ট্রায়ত্ত্বখাতে আছে সেখানে ক্ষতি কম হয়েছে। যার প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বিপরীতে কেরালা, কিউবা, ভিয়েতনাম ইত্যাদি। নেতৃবৃন্দ সরকার গঠিত কারিগরি পরামর্শক কমিটির কোন পরামর্শ না মেনে করোনা সংক্রমণের পিক সময়ে অফিস, দোকান, গণপরিবহন সব খুলে দেয়ায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা প্রস্তুতি না নিয়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তে জনগণকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া হলো। আলোচাকগণ গণপরিবহনের ভাড়া ৮০% বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অন্যায় অযৌক্তিক বলে তা বাতিলের দাবি জানান।
মতবিনিময় সভায় আরো যুক্ত ছিলেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ নেতা জুলফিকার আলী, খালেকুজ্জামান লিপন, বাসদ মার্কসবাদী নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহম্মেদ।





ছবিঘর এর আরও খবর

সরকারকে সংস্কার, নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে সংস্কার, নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে
বাতিল হওয়া  স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই বাতিল হওয়া স্থানীয় পরিষদের কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই
দীপংকর তালুকদার এর বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ দীপংকর তালুকদার এর বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বিপুল অবৈধ সম্পদ গড়ার অভিযোগ
রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী রাঙামাটিতে মহান বিজয় দিবসে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলী
৭১ এর চেতনায় ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ধারণ করতে হবে ৭১ এর চেতনায় ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ধারণ করতে হবে
নবউত্থিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নষ্ট করতেই ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয় নবউত্থিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্ভাবনা নষ্ট করতেই ঠান্ডা মাথায় বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়
শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ লক্ষ লক্ষ শহীদদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটেছে শহীদ বুদ্ধিজীবীসহ লক্ষ লক্ষ শহীদদের জীবনদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের উন্মেষ ঘটেছে
সংস্কার ছাড়া গতানুগতিক নির্বাচন বিশেষ কোন কাজে আসবেনা : ডঃ তোফায়েল আহমেদ সংস্কার ছাড়া গতানুগতিক নির্বাচন বিশেষ কোন কাজে আসবেনা : ডঃ তোফায়েল আহমেদ
যে কোন উসকানি মোকাবেলা করে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে : সাইফুল হক যে কোন উসকানি মোকাবেলা করে জনগণের ঐক্য বজায় রাখতে হবে : সাইফুল হক
ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার প্রথম করনীয়  হচ্ছে নিজেদের মধ্যে লৌহদৃঢ ঐক্য গড়ে তোলা ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতার প্রথম করনীয় হচ্ছে নিজেদের মধ্যে লৌহদৃঢ ঐক্য গড়ে তোলা

আর্কাইভ