রবিবার ● ১৯ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » সুপ্রিম কোর্টের বারের নির্বাচনে মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়েছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দুরের কথা, পাড়ার ক্লাবেরও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় : গণতন্ত্র মঞ্চ
সুপ্রিম কোর্টের বারের নির্বাচনে মাধ্যমে আরো স্পষ্ট হয়েছে এই সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দুরের কথা, পাড়ার ক্লাবেরও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয় : গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে ১৮ মার্চ ২০২৩, সকাল সাড়ে এগারোটায় পল্টন মোড়ে, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সংবিধান সংস্কারের লক্ষ্যে এবং দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও তিস্তার পানি প্রত্যাহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ অধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদ এর সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক উজ জামান পীরাচা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সরকার রাতের অন্ধকারে বিরোধী দলের কর্মীদের তুলে নিয়ে মুখ বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে। এই সরকার মুখে সংবিধানের কথা বলে জন মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়াতেই ব্যাস্ত। দেশের স্বার্থের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভারতের তিস্তার পানি সরিয়ে নেয়ার কোনো প্রতিবাদ তারা করে না। এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের আগামী কর্মসূচি শীঘ্রই জানিয়ে দেয়া হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না তার বক্তব্যে বলেন যে সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে পুলিশ দিয়ে সরকার যা করেছে সেটা দেশের ইতিহাসের একটা কলঙ্কজনক অধ্যায়। দ্রব্যমূল্য সহনীয় করার কোনো ইচ্ছাই এই সরকারের নাই কারণ সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট। দ্রব্যমূল্য তারা বাড়াতেই থাকবে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই একমাত্র পথ। দেশের জনগন ও সমগ্র বিশ্বমানবতার কাছে এই চলমান আন্দোলনের সমর্থন চাই।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক তার বক্তব্যে বলেন, সরকার দেশের স্বার্থ বিক্রি করে বিদেশি শক্তির হাতে দেশের সম্পদ তুলে দেয়ার খেলাই খেলছে। এই সরকার দেশ চালাতে সম্পূর্ন ব্যার্থ। তারা মানুষের ভাতের অধিকার আর ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যেই সরকার সুপ্রিম কোর্টের বার নির্বাচনে পুলিশ লাগিয়ে হাইজ্যাক করে নেয় সেই সরকার দেশের সাধারণ নির্বাচন তো দূরে থাক একটা পড়ার সংগঠনেরও কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সমর্থ্য না। সেজন্যে এই সরকারকে বিদায় না করে দেশের মানুষের শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব না।
গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ৫-৭ টি বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।ভোজ্য তেল থেকে পোল্ট্রি মুরগি সব কিছুই সিন্ডিকেটের হাতে। সিন্ডিকেট ইচ্ছেমত দাম বাড়ায়।কারণ, সরকার এই সিন্ডিকেটের থেকে চাঁদা নেয়।প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে গোয়েবলসের মতো কথা বলেছেন। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিংয়ে বাধা না দিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ফ্যাসিবাদের পতনে প্রয়োজন জনগণকে সাথে নিয়ে গণভবন ঘেরাও দেয়া হবে। শ্রীঘ্রই চূড়ান্ত আন্দোলন হবে, জনগণ এই আন্দোলনে বিজয়ী হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক আবুল হাসান রুবেল বলেন, তিস্তার পানি খাল কেটে সরিয়ে নিলেও সরকার নিরব। এই জনস্বার্থ বিরোধী জালিম সরকারের পতনের জন্যই গণতন্ত্র মঞ্চ বারবার দারাচ্ছে।
ভাসানী অনুসারী পরিষদ এর সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু তার বক্তব্যে বলেন সরকারি ছত্রছায়ায় হাজার হাজার ডাকাত হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে চলেছে আর এই প্রক্রিয়ায় বাইরের দেশে তৈরি হচ্ছে সোনার মোড়কে গড়া প্রমোদ প্রাসাদ। এই ডাকাতির সরকারের পতন না হলে দেশের মানুষের মুক্তি নাই।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মিডিয়া সমন্বয়ক হাসিবউদ্দীন হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, দ্রব্যমূল্যের চাপে আমাদের জনজীবন আজ মহা বিপদগ্রস্থ। এই কঠিন সময়ে সরকার মানুষের পাশে থাকার বদলে তাদেরকে শাষণ করে তাদের মুখ বন্ধ রাখতেই ব্যস্ত। এই অবস্থা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এই সরকারের পতনের সাথে সাথে এই শাষণ ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ রাজপথে আছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের বক্তব্য শেষে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সভার সমাপ্তি টানা হয়।