রবিবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ১১ বছরেও শেষ হয়নি সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার
১১ বছরেও শেষ হয়নি সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি)। এতো বছরেও শেষ হয়নি এ হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত।
তদন্ত কর্মকর্তারা বিগত ১১ বছরে ৯৫ বার সময় নিয়েও আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেননি।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি খুন হন। এ সময় বাসায় ছিল সাংবাদিক দম্পতির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
হত্যাকারীদের ধরতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত সাহারা খাতুনের বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টা গড়িয়ে গড়িয়ে পার হয়েছে ১১টি বছর। এ সময়ে চারবার বদলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেয়ার। চিহ্নিত না হওয়ায় খুনিরা দিনের আলোতে বুক ফুলিয়ে ঘুরলেও আলো দেখেনি হত্যার বিচার।
ঘটনার পর এ বিষয়ে একটি মামলা হয় ডিএমপির শেরে-বাংলানগর থানায়। রুনির ভাই নওশের আলম রোমান মামলাটি করেন।
মামলাটির প্রথম তদন্ত শুরু করেন, শেরে-বাংলানগর থানার এস আই জহুরুল ইসলাম। এরপর ৬২ দিন তদন্তের দায়িত্ব থাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে। ২ মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি র্যাব জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া ডিএনএ রিপোর্টে দুজন পুরুষের পূর্ণাঙ্গ প্রোফাইল পাওয়া গেছে। ব্যস এ পর্যন্তই ফলাফল।
সর্বশেষ গত ৪ জানুয়ারি এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ৫ মার্চ ধার্য করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কেন বার বার সময় নিতে হচ্ছে? এ বিষয়ে জানতে ফোন দিলে র্যাবের দায়িত্বশীল কেউ ফোন ধরেননি।
বিচারের দাবিতে ১১ বছর ধরেই বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচিও দেন সাংবাদিকরা। তবু চিহ্নিত হয়নি খুনিরা।
এ বিষয়ে মামলার বাদী নওশের আলম রোমান বলেন, ‘গত ১১ বছরে আমার চোখের সামনে অনেক আলোচিত হত্যা মামলার বিচার শেষ হয়েছে, আসামিদের শাস্তিও হয়েছে। কিন্তু এমন আলোচিত একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন ১১ বছরেও দাখিল করতে পারেনি তদন্তকারী সংস্থা। এখনও কেন মামলার তদন্ত আটকে আছে সে প্রশ্ন আমাদের।