সোমবার ● ২২ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থবাণিজ্য » যে সকল প্রকল্প মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়, দেশ-প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, সে সকল প্রকল্প বাদ দিন
যে সকল প্রকল্প মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়, দেশ-প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, সে সকল প্রকল্প বাদ দিন
ঢাকা :: যে সকল প্রকল্প মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়, দেশ-প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে, সে সকল প্রকল্প বাদ দিয়ে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, দুর্যোগ মোকাবিলা, শিক্ষা-কৃষিতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঢাকা নগর কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাজেট ২০২০-২১ জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় সহায়ক না উপেক্ষিত’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময়সভা নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
আজ ২০ জুন ’২০ বিকেল ৪টায় তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঢাকা নগর কমিটির সমন্বয় খান আসাদুজ্জামান মাসুম ও মনির উদ্দীন পাপ্পুর সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক এমএম আকাশ, আইইডিসিআরের প্রাক্ত প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্ত ডা. মোস্তাক হোসেন, সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজের প্রক্তন অধ্যাপক ডা. হারুনুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিম উদ্দীন খান, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সহসম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদীর) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরের সদস্য আকবর খান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জুলফিকার আলী, শহিদুল ইসলাম সবুজ, মঈনউদ্দীন চৌধুরী লিটন, অনুপ কু- প্রমুখ।
সভার শুরুতে করোনায় নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানীর মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ^ব্যাপী করোনা মহামারির তা-ব চালাচ্ছে। এই সময় ‘বাজেট ২০২০-২১ প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশবাসী আশাকরেছিল করোনা মোকাবিলা, জনস্বাস্থ্যে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা হবে, দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এমন সকল প্রকল্প বাদ দিয়ে জাতীয় সম্পদ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু দেশবাসী হতাশার সাথে লক্ষ করলে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ যা কোনভাবেই নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে পারবে না। বাজেটের নীতি তৈরি হয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার্থে। যে কারণে চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশই মানুষকে খরচ করতে হয় নিজের পকেট থেকে।
সুস্থ-কর্মঠ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার প্রধান শর্ত হলো, রোগ যাতে না হয়, তার জন্য নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা, দ্বিতীয়ত, যা মানুষকে অসুস্থ করে বাতাস-পানি, মাটির, পরিবেশ এগুলোর দূষণ কমানো। তারপরও অসুস্থ হলে সরকারি উদ্যোগে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। কিন্তু সরকার সেটা উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীদের হাতে স্বাস্থ্যকে ছেড়ে দিয়েছে। যে কারণে মন্ত্রী-এমপিসহ কর্মকর্তারা অসুস্থ হলে ঢাকা মেডিকেল বা করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে না গিয়ে ছুটে যান সিএমএইচে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক যেমন কোন সরকারি হাসপাতালে নয়, করোনার চিকিৎসার জন্যে সিএমএইচে দৌঁড়ান, তেমনি শমরিতা হাসপাতালের মালিক মকবুল হোসেন শমরিতায় না-সিএমএইচে মৃত্যুবরণ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা খাতসহ জাতীয় সক্ষমতা বিকাশে গুরুত্ব না দেবার ধারাবাহিকতা এই বাজেটেও অব্যাহত রাখা হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের মতো একটি ভয়াবহ প্রকল্পের জন্য উচ্চ বরাদ্দকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে দেখিয়ে প্রতারণামূলক ভূমিকা গ্রহণ করেছে সরকার। পায়রা, মহেশখালী ও মাতারবাড়ীতে বিদ্যুতের হাব বানানোর হাব করার কথা বাজেট বক্তৃতায় গর্বের সাথে ঘোষণা করেছে। এর মধ্যদিয়ে জনস্বাস্থ্য ও জাতীয় সম্পদ রক্ষায় নয় ধ্বংসের সহায়ক বাজেট করেছে।