সোমবার ● ১ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ব্যক্তিমালিকানায় নয়, বন্ধকৃত সকল পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করার দাবীতে সমাবেশ
ব্যক্তিমালিকানায় নয়, বন্ধকৃত সকল পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করার দাবীতে সমাবেশ
লিজ বা ব্যক্তিমালিমানায় নয়, বন্ধকৃত সকল পাটকল রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু ও আধুনিকায়ন করা; এখনও পর্যন্ত বকেয়া কোন পাওনা না পাওয়া ৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের পাওনা ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী পরিশোধ করা এবং নামের ভুল শ্রমিকের পাওনা গেটপাস অনুযায়ী ও সকল শ্রমিকের অন্যান্য বকেয়া অবিলম্বে পরিশোধ করার দাবীতে আজ সকাল দশটা থেকে দূপুর একটা পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ-এর উদ্যোহে আয়োজিত এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব এসএ রশীদ। সমাবেশে শ্রমিকদের দাবীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সমন্বয়ক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র সভাপতি ও পাট বস্ত্র সুতাকল সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড মানস নন্দী, সিপিবি কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সভাপতি ও স্কপ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সভাপতি ও শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশন আহ্বায়ক শামীম ইমাম, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিফ দেওয়ান, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি সভাপতি আবু হাসান টিপু, শ্রমজীবি সংঘ সভাপতি আব্দুর রশীদ, ইস্টার্ন জুট মিল সাবেক সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক খান, জাতীয় জুট মিল শ্রমিক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, খালিশপুর জুট মিল সিবিএ সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, বদলি পাটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ খুলনা-যশোর আঞ্চলিক কমিটি আহ্বায়ক ইলিয়াস হোসেন, প্লাটিনাম জুট মিল শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার, স্টার জুট মিল শ্রমিক নেতা হামজা গাজী, ক্রিসেন্ট জুট মিল শ্রমিক নেতা জাকির হোসেন, করিম জুট মিল সংগ্রাম কমিটি সভাপতি মোঃ গোফরান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আলম, লতিফ বাওয়ানী জুট মিল সংগ্রাম কমিটি সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, খালিশপুর জুট মিল কারখানা কমিটি সদস্য সচিব আলমগীর কবির, দৌলতপুর জুট মিল কারখানা কমিটি আহ্বায়ক শেখ নূর মোহাম্মদ, সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন, জেজেআই মিল শ্রমিক নেতা শামস শারফিন, কার্পেটিং জুট মিল শ্রমিক নেতা জামাল মোল্লা, আলীম জুট মিল শ্রমিক নেতা শেখ রসুল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনগণের অর্থে পরিচালিত জাতীয় সম্পদ পাটকল ও চিনিকলসহ সকল রাষ্ট্রীয় কারখানা গত ৫০ বছরে ক্ষমতায় থাকা সকল পুঁজিবাদী দলগুলোর নেতৃত্বে লুটপাট করে ধ্বংস করা হয়েছে। আবার লোকসানি খাত দেখিয়ে সেগুলির সম্পদ পানির দামে ব্যক্তিমালিকদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এই পুরো প্রক্রিয়া পরিকল্পিত। সরকার পাটকলে গত ৪৪ বছরে সাড় দশ হাজার কোটি টাকা লোকসান হওয়ার কথা বলেছে। অথচ প্রতি বছর এর প্রায় দশগুণ টাকা বিদেশে পাচার হয়। ফলে ষড়যন্ত্রের ছক পরিষ্কার। তাই আজ জাতীয় সম্পদ রক্ষা করতে হলে এই দলগুলোকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আর এজন্য দরকার সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে নামতে হবে। পাটকল বন্ধ করা হয়েছে ১৬ মাস চলছে, এখনও সকল শ্রমিক তাদের বকেয়া পাওনা পায়নি। অবিলম্বে তাদের সকল বকেয়া পাওনা ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী পরিশোধ করার দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।