রবিবার ● ৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » গণটিকা প্রদানের বর্তমান ধারা - পদ্ধতি গণসংক্রমনের আশংকাও বাড়িয়ে তুলছে
গণটিকা প্রদানের বর্তমান ধারা - পদ্ধতি গণসংক্রমনের আশংকাও বাড়িয়ে তুলছে
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, গণটিকা কার্যক্রমে দুই দিনেই গণবিশৃংখলা ও গণহতাশা তৈরী হয়েছে। গণটিকাদান কর্মসূচী কেন্দ্র করে দেশের কোথাও কোথাও এক ধরনের নৈরাজ্যিক পরিস্থিতিও দেখা গেছে।তিনি বলেন গণটিকা প্রদানের সমগ্র তৎপরতায় সরকারের পরিস্কার ও সমন্বিত কোন রোড়ম্যাপ না থাকায় টিকা প্রদানকে কেন্দ্র করে এই গণবিশৃংখলা ও গণহতাশা দেখা দিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন,কোথায়, কোন কেন্দ্রে কত টিকা, কিভাবে দেয়া হবে এবং টিকাদানে অগ্রাধিকারই বা কি হবে- এ সমস্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট টিকা অঞ্চলে আগে থেকে জনগণকে অবহিত করা হলে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যেত; কেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত টিকার সংখ্যার চেয়ে কয়েকগুণ মানুষ কেন্দ্রে হাজির হোত না।
তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, যেভাবে গণটিকা কার্যক্রম চলছে তাতে নতুন করে করোনার গণসংক্রমনেরও আশংকা দেখা দিয়েছে।সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের অদূরদর্শিতা, সমন্বয়হীনতা ও আমলাতান্ত্রিকতার কারণেই এই ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি এসকল সমস্যাদি দ্রুত নিরসন করে গণটিকা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে কয়েক কোটি টিকা আমদানি করতে জোর প্রচেষ্টা গ্রহণের দাবি জানান।
একই সাথে তিনি যার যা পরিচয়পত্র আছে তার ভিত্তিতে টিকা কেন্দ্রে উপস্থিত ১৮ বছরের উপর সবাইকে টিকা দেবারও আহবান জানান।
তিনি টিকা গ্রহণে জনগণকে উৎসাহিত করতে স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী সবাইকে ভূমিকা পালনেরও অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে তিনি পার্টির সকল স্তরের কর্মী - সংগঠদের ভুমিকাও আরও জোরদার করার আহবান জানিয়েছেন।