রবিবার ● ১ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » করোনার উর্ধ্বমুখীকালে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা
করোনার উর্ধ্বমুখীকালে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা
বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ ও জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্য সিপিবি সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী কমরেড জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক কমরেড মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক কমরেড ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ৩১ জুলাই সংবাদপত্রে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু উর্ধ্বমুখী সত্ত্বেও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন বর্তমান ভোট ডাকাতির সরকার মানুষের জীবন রক্ষা নয় পোশাক মালিকদের মুনাফা লাভের স্বার্থরক্ষাকারী পাহাড়াদার।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু যেখানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে, মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটে আইসিইউ সংকট, শয্যা সংকটে, জীবন যখন বিপন্ন এবং সরকারের করোনা মোকাবিলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক যেখানে লকডাউন আরও বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে তখন মানুষের জীবন রক্ষার পদক্ষেপ না নিয়ে কারখানা খোলার ঘোষণা গোটা দেশবাসীকে হতবাক করেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের কাছে দায়হীন আমলা নির্ভর লুটপাটকারীদের স্বার্থ রক্ষাকারী সরকার গত বছরেও এপ্রিল-মে মাসে সাধারণ ছুটি ও গণপরিবহন বন্ধ থাকার সময় গার্মেন্টস খোলা ও সমালোচনার মুখে পুনরায় বন্ধ করার মাধ্যমে শ্রমিকদের নির্মম ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছিল। ছুটিতে বাড়ি যাওয়া শ্রমিকেরা শত শত মাইল পায়ে হেটে, রিকশা-ভ্যান-অটো, মাছের ড্রামে অবর্ণনীয় কষ্ট করে একবার ঢাকা-সাভার-গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ এসেছিল আবার বাড়ি ফিরে গিয়েছিল এতে করোনা সংক্রমণ সর্বত্র ছাড়িয়ে পড়েছিল।