শনিবার ● ২৪ জুলাই ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » নজিরবিহীন কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে দেশে : সাইফুল হক (শেষ পর্ব)
নজিরবিহীন কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে দেশে : সাইফুল হক (শেষ পর্ব)
‘নজিরবিহীন কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে দেশে’ ( বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক এর এই একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘দেশ’ পত্রিকার চলতি সংখ্যায় প্রকাশ হয়েছে। আমাদের পাঠকদের জন্য লেখাটি পূর্ণরায় প্রকাশ করা হল)।
সাক্ষাৎকারের প্রশ্নাবলী ও উত্তর : সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
পূর্বে প্রকাশের পর।
১০। এই সরকার কি ভাল কিছু করেনি ?
কৃষির ক্ষেত্রে সরকার কিছু ইতিবাচক উদ্যোগ নিয়েছে। করোনা দুর্যোগ সামাল দিয়ে উৎপাদনশীল উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে সরকার যে আর্থিক প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার কিছু ভাল ফলাফল রয়েছে। নারী উন্নয়নে সরকার গৃহীত কিছু উদ্যোগ ইতিবাচক। সীমাহীন দুর্নীতি থাকার পরও অবকাঠামো নির্মাণে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য রয়েছে। সম্প্রতি কয়লাভিত্তিক কিছু বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করে দিয়ে সরকার ভাল কাজ করেছে।
১১। বিএনপির রাজনীতিকে কিভাবে দেখেন ?
বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী বিএনপি রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে পারছে না। বিদ্যমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মানুষকে কার্যকরভাবে রাজপথে সামিল করতে পারছে না। এ মুহুর্তে বিএনপি খানিকটা ছন্নছাড়া, দিশাহীন ও সমন্বয়হীন। বিএনপির বড় সমস্যা তাদের নেতৃত্বের। বিএনপিকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। জামায়াতের প্রশ্নে বিএনপিকে পরিস্কার অবস্থান গ্রহণ করতে হবে। রাজনীতির ‘ডাবল ষ্ট্যান্ডার্ড’ পরিহার করতে হবে। ২০১৮ সালের তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখান ও বর্জন করার পর আবার সেই সংসদে ফিরে যাওয়া বিএনপির রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। বিএনপিকে জনআস্থা অর্জনে নিজেদের শাসনামলের ভুল ও অন্যায় সম্পর্কে জনসমক্ষে পরিস্কার আত্মসমালোচনা করা দরকার। ভবিষ্যতে তারা কি কি ইতিবাচক প্রস্তাব ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে চান তাও বিশ্বাশত সযোগ্যভাবে উত্থাপন করা দরকার। বিএনপি যে জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে তার রাজনৈতিক ভিত্তি স্পষ্ট করার পাশাপাশি এর ব্যবহারিক বিষয়েও উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন।
১২। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে কি কি করা দরকার ?
ক) রাজপথে গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির কার্যকরি ঐক্যের মধ্য গণআন্দোলন-গণজাগরণের পথে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, গণতান্ত্রিক ও অবাধ পরিবেশে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
খ) বিদ্যমান চরম অগণতান্ত্রিক ও দমনমূলক রাষ্ট্র-সরকার ও শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তে কিভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সরকার ও সংবিধান তৈরী হবে সে ব্যাপারে বিরোধী দলসমূহের মধ্যে ন্যূনতম রাজনৈতিক বোঝাপড়া গড়ে তোলা দরকার। গণতান্ত্রিক উত্তরণের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা ও ওয়াদা ব্যতিরেকে মানুষের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা যাবে না।
গ) এ মুহুর্তে মহামারী দুর্যোগ উত্তরণে রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার প্রেক্ষিতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারকে বাধ্য করা প্রয়োজন।