রবিবার ● ১৪ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
ঢাকা :: মহামারী দুর্যোগ থেকে মানুষ বাঁচাও- দেশ বাঁচাও’ ফুল দিয়ে সারা দেশে শহীদ মিনারে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুরস্কার অর্পণ, শপথ গ্রহণ ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ
এই বাজেট প্রত্যাখান করুন; করোনা দুর্যোগ উত্তরণে অন্তবর্তীকালীন বাজেট দিন মহামারী দুর্যোগ থেকে মানুষ বাঁচাও- দেশ বাঁচাও এই স্লোগানে আজ রবিবার ১৪ জুন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ভাষা শহীদ থেকে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, গত ৪৯ বছরে দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদ এবং করোনা মহামারীতে যারা মারা গেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। পুস্পস্তবক অর্পণের নেতৃবৃন্দ মহামারী দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ঘোষণা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক, জবাবদিহীমূলক ও মানবিক রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজ প্রতিষ্ঠার শপথ গ্রহণ করেন।
আজ সকালে পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা, নেত্রকোনা, নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া, গাইবান্ধা, খুলনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহীর বাঘা, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, খুলনার তেরখাদা, দীঘলিয়াসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং শপথ গ্রহণ করা হয়।
ঢাকায় বেলা ১১.৩০এ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ, শপথ গ্রহণ ও শহীদ মিনারের বেদিতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।
পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান ও আবু হাসান টিপু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাশিদা বেগম, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, মহানগর কমিটির সদস্য জোনায়েদ হোসেন ও সানোয়ার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
শহীদ মিনারের পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতা আকবর খান বলেন, করোনা দুর্যোগের ভয়াবহতা থেকে সরকার প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা গ্রহণ করেনি। যে কারণে নতুন অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাত প্রয়োজনীয় মনোযোগ ও বরাদ্দ পায়নি। কৃষি ও গ্রামীণ খাতও উপেক্ষিত হয়েছে। চার মাস পরেও সরকার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতের বেহাল ও নৈরাজ্যিক অবস্থা বজায় রয়েছে। এই বাজেট করোনা দুর্যোগ উত্তরণের বাজেট হয়নি। বাজেটে কালো টাকার মালিক, ঋণ খেলাপী ও বিত্তবানদেরকে বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়েছে। দারিদ্রসীমার নীচে নেমে আসা ৮ কোটি মানুষে জন্য বাজেটে বড় কোন সুখবর নেই।
সমাবশে আবু হাসান টিপু বলেন, করোনা মহামারীর বাজটের নীতি দর্শনের কোন পরিবর্তন হয়নি। সে কারণে লুটেরা ও বিত্তবানদের কাছ থেকে অপ্রর্শিত টাকা উদ্ধার না করে তাদেরকে প্রণোদনার নামে নতুন নতুন উপহার দেয়া হয়েছে। গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শ্রমজীবীদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, খাদ্য, আবাসন বাজেটে তাদের মানবিক জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই।
নেতৃবৃন্দ এই বাজেট প্রত্যাহার করে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য অন্তবর্তীকালীন বাজেট প্রণয়নের দাবি জানান।