মঙ্গলবার ● ৮ জুন ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থবাণিজ্য » কৃষির পুনরুজ্জীবন কৃষি ও গ্রামীণ খাতে মনোযোগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করুন
কৃষির পুনরুজ্জীবন কৃষি ও গ্রামীণ খাতে মনোযোগ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করুন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: বিপ্লবী কৃষক সংহতির সভাপতি আনছার আলী দুলাল ও সাধারণ সম্পাদক সিকদার হারুন মাহমুদ আজ এক বিবৃতিতে আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে কৃষকদের জন্য হতাশা, বেদনা আর দীর্ঘশ্বাসের দলিল হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন বিশাল আকারের এই বাজেট জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষকদের বিশাল অবদানের স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন নেই। তারা বলেন, কৃষি ও গ্রামীণ খাতে এই বছরও বরাদ্দ বিশেষ বাড়েনি। এই মহামারী দুর্যোগের সময় যে কৃষকেরা জানপরান পরিশ্রম করে উৎপাদনের চাকা সচল রেখেছে, দেশের মানুষের পেটে ভাত যুগিয়ে যাচ্ছে তারা বাজেটে অগ্রাধিকার পায়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষিখাতে যে ভর্তুকী দেয়া হয়েছে তার দ্বারা মাঝারি, ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র চাষীরা লাভবান হবে। কারন তাদের কৃষি সরঞ্জাম কেনার সামর্থই নেই। তারা বলেন, কৃষিপণ্যে যে মূল্য সহায়তা তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকৃত চাষীরা চোখেও দেখে না। কৃষিপণ্যে এই মূল্য সহায়তা সরকারদলীয় মধ্যস্বত্ত্বভোগী ও চাতালের মালিকেরাই হাতিয়ে নেয়। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টেম. টন ধান কিনে কৃষখদের রক্ষার যে দাবি তুলে ধরা হয়েছিল তাও আমলে নেয়া হয়নি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষকেরা কিনতেও ঠকে, আবার বেচতেও ঠকে। কৃষকের এই বঞ্চনা প্রধানত; কৃষি বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে। বাজেটে এই কৃষিবাজার সংস্কারের উদ্যোগ নেই। শস্যবীমা তথা কৃষিবীমার কার্যকারিতার কোন ব্যবস্থার প্রস্তাব নেই। তারা বলেন, দেশকে স্বাবলম্বী করতে হলে কৃষির পুনরুজ্জীবনের কোন বিকল্প নেই। গ্রামীণ দারিদ্র মোচনেও বাজেটে তেমন কিছু নেই।
নেতৃবৃন্দ কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন ঘটাতে কৃষি বাজেটকে পুরোপুরি পুনর্বিন্যস্ত করার দাবি জানান।