সোমবার ● ৩১ মে ২০২১
প্রথম পাতা » অর্থবাণিজ্য » করোনা দুর্যোগ মোকাবেলা ও তা থেকে উত্তরণে প্রচলিত ধারার বাজেটের খোলনলচে বদলানো দরকার
করোনা দুর্যোগ মোকাবেলা ও তা থেকে উত্তরণে প্রচলিত ধারার বাজেটের খোলনলচে বদলানো দরকার
ঢাকা :: আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় করোনা দুর্যোগ মোকাবেলা ও তা থেকে উত্তরণে প্রচলিত ধারার জাতীয় বাজেটের খোলনলচে বদলানো দরকার। তেলের মাথায় তেল দেবার গতানুগতিক বাজেট দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না, বিদ্যমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসা যাবে না। প্রস্তাবে বলা হয় করোনা মহামারী সামষ্টিক অর্থনীতি ও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিবারসমূহে যে মারাত্মক নেতিবাচক অভিঘাত সৃষ্টি করেছে তা থেকে বেরিয়ে আসতে শিল্প, কৃষি ও গ্রামীণ খাতসমূহের পাশাপাশি দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে দুই কোটি পরিবারকে কমপক্ষে আগামী ৬ মাস নগদ অর্থ ও খাদ্য সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন। প্রস্তাবে স্বাস্থ্য চিকিৎসার পাশাপাশি জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব প্রদানের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে সরকার পরিচালনার ব্যয়, বিদেশ ভ্রমণ, বিলাস দ্রব্যের আমদানি হ্রাস, রাষ্ট্রীয় অপচয় বন্ধ করাসহ অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে আনার দাবি জানানো হয়।
সভায় বাজেট প্রণয়নের ও গ্রহণের আমলাতান্ত্রিক ধারা-পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে ঘাটতি বাজেটের ধারা থেকে বেরিয়ে আসারও আহ্বান জানানো হয়। কারণ শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষকেই এই ঘাটতি বাজেটের টাকা যোগাতে হয়।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, সজীব সরকার রতন, রাশিদা বেগম, নির্মল বড়ুয়া মিলন, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, জুঁই চাকমা প্রমুখ।
সভায় সীমান্তবর্তী জেলাসমূহের করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ঐসমস্ত জেলাসমূহে সাধারণ মানুষের খাবার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত লকডাউনের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় আগামী ১৪ জুন পার্টির ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উজ্জাপনের বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সভায় আগামী ১৮ জুন পার্টির জাতীয় পরিষদের সভা এবং ১৯ জুন ২০২১ কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।