শনিবার ● ১৩ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ সম্পাদকীয়
অনলাইন সংস্করণ উদ্বোধন উপলক্ষে বিশেষ সম্পাদকীয়
জনগণতন্ত্র স্বাধীনতার ঘোষণা ও দেশের জনগণের কল্যাণে তার আপোষহীন ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
গত ১৬ বছর ধরে মাসিক জনগণতন্ত্র প্রকাশিত হচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী সময়মত পত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। তবে নানা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও পত্রিকার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার চেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। আট বছর আগে সাদাকালো থেকে পত্রিকা রঙ্গিন আকারে বের হচ্ছে। এরপর থেকে পত্রিকা আরো আকর্ষণীয় হয়েছে সন্দেহ নেই। পত্রিকা কেন্দ্র করে পত্রিকার পাঠক ও শুভ্যার্থীদের আগ্রহও বেড়েছে। বাংলাদেশে পুরোপুরি রাজনৈতিক ধারার একটি মাসিক পত্রিকা নানা দিক থেকে এত গুরুত্বপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে- জনগণতন্ত্রের আগে এর তেমন কোন উদাহরণ আমাদের সামনে ছিল না। বরাবরই আমাদের একটি ব্রত কাজ করেছে যে, গুণগত দিক থেকে মানসম্মত না হলে পত্রিকা বের না করাই ভাল। সে কারণে বিভিন্ন ক্রান্তিকালে আমাদের সময় ও মনোযোগের অভাবে পত্রিকা কখনও কখনও অনিয়মিত হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি।
জনগণতন্ত্র গত ১৬ বছর কেবল আমাদের রাজনৈতিক সহযাত্রী ছিল না; পত্রিকা এদেশের শ্রমজীবী - মেহনতি মানুষসহ দেশের জনগণের সার্বিক মুক্তির গণতান্ত্রিক আকাঙ্খারও সহযাত্রী হয়েছে। আমাদের মহান স্বাধীনতার ঘোষণা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা আর সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একটি শোষণ-বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহীমূলক মানবিক রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে এগিয়ে যেতেও পত্রিকা সচেষ্ট ছিল। দেশ ও দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মুক্তি অর্জনের বাইরে পত্রিকার আর কোন স্বার্থ ছিল না, নেই। শাসকশ্রেণী ও শাসকগোষ্ঠির নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন মোকাবেলা করে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এগিয়ে নেয়া, শ্রমজীবী- মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এবং সর্বোপরি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থের পক্ষে আপোষহীনভাবে দাঁড়ানোই ছিল পত্রিকার প্রধান ভূমিকা। এই ভূমিকা থেকে পত্রিকার বিচ্যুত হবার সুযোগ নেই।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ ১৪ জুন ২০২০ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জনগণতন্ত্র পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ আলোর মুখ দেখছে। একই সাথে জনগণতন্ত্র এখন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবেও তার যাত্রা শুরু করছে। আশা করি এর মধ্য দিয়ে আমাদের পাঠক ও শুভ্যার্থীদের বহুদিনের প্রত্যাশা পূরণ হবে। পত্রিকা স্বাধীনতার ঘোষণাকে বাতিঘর হিসেবে বিবেচনা করে এবং দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির প্রতি তার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে।
সংগত কারণেই পত্রিকা তার নামের সম্মান অব্যাহত রাখতে জনগণের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি অনেক বেশী সংবেদনশীল থাকবে। এজন্যে পত্রিকার ‘মুক্তমত’ বিভাগেও বন্ধুরা লিখতে পারবেন।
আমাদের এই নতুন যাত্রাপথে আমরা সকল বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী , বিজ্ঞাপনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করি।
বহ্নিশিখা জামালী
প্রকাশক ও সম্পাদক, জনগণতন্ত্র