শনিবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » অধিকার ও মুক্তি অর্জনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন
অধিকার ও মুক্তি অর্জনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন
ঢাকা :: আজ ১৭ এপ্রিল শনিবার সকালে এক ভাচুয়াল আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন ভিতর-বাইরের নানা প্রতিকুলতা মোকাবেলা করে তাজউদ্দীন আহমদ এর নেতৃত্বাধীন প্রবাসী মুজিবনগর সরকারই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব প্রদান করেছে; স্বাধীনতা সংগ্রামকে বিজয়ী করেছে। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে ১৯৭১ এর ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে শপথ নেয়া যুদ্ধকালীন সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে একদিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়, আর অন্যদিকে মুক্তিকামী দেশবাসীর কাছে সুস্পষ্ট নির্দেশনাসহ তাদের মনে বিপুল উদ্দীপনা আর সাহস সঞ্চার করে। কিন্তু সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি আর নানা মাত্রার হীনমন্যতার কারণে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও যুদ্ধকালীন সরকার তাদের প্রয়োজনীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা পায়নি। কেউ কেউ ছোট হয়ে যায় কি না এই ভুল ও আত্মগত অরাজনৈতিক চিন্তা ভাবনার কারণে প্রবাসী সরকারের গৌরবজনক ভূমিকাকে ধারাবাহিক ভাবে ছোট করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম যে একটি জনযুদ্ধ যুদ্ধকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এটা ভালভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। সে কারণে তিনি জনগণের সকল অংশকে এই যুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তার দূরদৃষ্টি ছিল বলে ৭১ এর ১০ এপ্রিল প্রদত্ত বেতার ভাষণে তিনি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম কোন বিদেশী রাষ্ট্রের উপরাষ্ট্র হবার জন্য নয়।
তিনি বলেন বর্তমান সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে বিসর্জন দিয়ে দেশকে আজ মারাত্মক অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিয়েছে। তিনি দেশ ও দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত রক্ষায় বিদ্যমান সর্বগ্রাসী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক গণঐক্য-গণজাগরণ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের পঞ্চাশ বছর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতি হিসাবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আব্দুন নূর, সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, কমিটির সদস্য সচিব ইফতেখার আহমেদ বাবু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মাহমুদ হোসেন, পিপলস গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি নেতা নির্মল বড়ুয়া মিলন, শেখ মো. শিমুল, শ্রমিক নেতা অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, ইমরান হোসেন প্রমুখ।
সভায় আবদুর নূর বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের আদর্শচ্যুত হয়েছে। সস্বাধীনতা সংগ্রামের বীরদেরকে তারা মর্যাদা দিতে পারেনি।
ইফতেখার আহমেদ বাবু বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের সুফল ভোগ করছে অথচ প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে।
বহ্নিশিখা জামালী বলেন, তাজউদ্দীন আহমদসহ যুদ্ধকালীন নেতাদেরকে ছোট করার মধ্যে কোন গৌরব নেই। বঙ্গবন্ধুকে শ্রেষ্ঠ সম্মান দিয়েও সকল বীরদেরকে উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া যায়।
বক্তারা অধিকার আর মুক্তি অর্জনে আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
সভায় চিত্রনায়িকা কবীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
বরেণ্য চিত্রনায়িকা কবরীর মৃত্যুতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির গভীর শোক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ এক বিবৃতিতে বাংলা চলচ্চিত্রের বরেণ্য নায়িকা সারাহ বেগম কবরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন তার মৃত্যুতে আমাদের রূপালী পর্দায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হল তা সহজে পূরণ হবার নয়। বিবৃতিতে তিনি বলেন, এদেশের চলচ্চিত্র আর কবরী ছিলেন একই স্বত্ত্বা। দেশের চলচ্চিত্রকে একটি শিল্প হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তার বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি বলেন চিত্রনায়িকা কবরীকে এদেশের মানুষ তাদের একান্ত আপনজন হিসাবে গ্রহণ করেছিল। তার অনন্য অভিনয়গুণে তিনি দেশের কোটি কোটি মানুষের মন জয় করেছিলেন। সারা দুনিয়ার বাংলা ভাষাভাষি মানুষেরও তিনি হৃদয় জয় করেছিলেন। এদেশের নারীর দুঃখ- বেদনা-আনন্দ-আকাঙ্খা তিনি অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। দেশের চলচ্চিহত্র তার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে। ব্যক্তি মানুষ হিসাবেও তিনি ছিলেন নানা গুণাবলীর অধিকারী।
বিবৃতিতে তিনি কবরীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার পরিবার ও কোটি কোটি গুণমুগ্ধদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।