বৃহস্পতিবার ● ১৯ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » এমপি বাবলুকে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে- শ্রমজীবী নারী মৈত্রী
এমপি বাবলুকে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছে- শ্রমজীবী নারী মৈত্রী
ঢাকা :: ধর্ষণের জন্য নারীবাদীদের দোষারোপ করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে তাকে ক্ষমা প্রার্থনারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বগুড়ার সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু কর্তৃক জাতীয় সংসদে নারী বিদ্বেষী এবং তার এই বক্তব্যের জন্যে তাকে ক্ষমা প্রার্থনারও আহ্বান জানিয়েছেন। সংসদ সদস্য বাবলু ধর্ষণ বেড়ে যাবার জন্য নারীবাদীদের যেভাবে দায়ী করেছেন তা চরম কাণ্ডজ্ঞানহীন ও দায়িত্ব বর্জিত। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে রেজাউল করিম বাবলু মূলত হেফাজত নেতা মওলানা শফীর চরম নারী বিদ্বেষী বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি করেছেন। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন সংসদ সদস্যরা কিভাবে নারীর জন্যে অবমাননাকর এই ধরনের বক্তব্য শুনলেন ও হজম করলেন তা আমাদের বিস্মিত করেছে। কোন কোন সংসদ সদস্যরা এমপি বাবলু ও মওলানা শফীর মত নারী বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন কিনা ইতিমধ্যে সেই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। বিবৃতিতে তারা উল্লেখ করেন, নীতি নির্ধারকেরাই যদি এই ধরনের চরম নারী বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করেন তাহলে ধর্ষকরা যে পরোক্ষভাবে আরও উৎসাহিত হবে তাতে আর সন্দেহ কি ?
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে একজন জনপ্রতিনিধির এমন মন্তব্য চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্য যেখানে সংসদনেত্রী প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলীয় নেত্রী সবাই নারী।
গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল- ২০০০’ পাসের বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বাবলু বলেন, ‘এখানে কী দেখছি মাননীয় স্পিকার? নারীবাদীরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে নারীদেরকে উন্মুক্ত করে চলছে। যার কারণেই ধর্ষকরা ধর্ষণের অনুভূতিকে এতটা অ্যাকসেপ্ট করেছে যে, ধর্ষণে উৎসাহিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনটি এখানে উত্থাপন করা হচ্ছে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা কী দেখি মাননীয় স্পিকার? করিতে ধুলা দূর, রাজ্য ধুলায় ভরপুর। এত আইন করেছি, কিন্তু শুধু সঠিক বাস্তবায়ন, প্রণয়ন ও প্রয়োগের কারণে আমাদের আইনগুলো ভেস্তে যাচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বে আহমদ শফী সাহেবকে তেঁতুল হুজুর বলে উল্লেখ করেছি। তেঁতুল হুজুরের তেঁতুল থিওরিটাও যদি কাজে লাগানো যেত তাহলে ধর্ষকরা ধর্ষণ থেকে পিছপা হতো। ধর্ষণ থেকে তারা নিরুৎসাহিত হতো। তাদের ভিতরে ধর্মীয় অনভূতি আসত।’