মঙ্গলবার ● ১০ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণসংগ্রাম গড়ে তুলুন
ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণসংগ্রাম গড়ে তুলুন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: এরশাদ স্বৈারাচারবিরোধী সংগ্রামে ১৯৮৭ সালে ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন, সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো, নুরুল হুদা বাবুলসহ নাম না জানা শহীদদের স্মরণে আয়োজিত সমাবেশে বাম জোটের নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক, সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ(মা) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, ইউসিএল’র সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড আব্দুস সাত্তার, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি কমরেড হামিদুল হক। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এরশাদ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নূর হোসেন, সৈয়দ আমিনুল হুদা টিটো, নুরুল হুদা বাবুল, ডা. মিলন, কমরেড তাজুল, ময়েজউদ্দিন, রাউফুন বসনিয়া, সেলিম, দেলোয়ার, দিপালী সাহা, শাহজাহান সিরাজসহ অসংখ্য শহীদ স্বৈারচারের হাতে বন্দি গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে আত্মদান করেছেন। নূর হোসেন বুকে-পিঠে স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক শ্লোগান লিখে জীবন দিয়েছিলেন। অনেক শহীদের মৃতদেহ স্বৈরাচার এরশাদ গুম করে দিয়েছিল। অসংখ্য মানুষের আত্মদান, পঙ্গুত্ববরণ, জেলজীবনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু যারা ৯০’র গণঅভুত্থানের পর ক্ষমতাসীন হয়েছে সেই আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং তাদের জোট মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের আকাংখাকে পদদলিত করেছে। তারা নব্য স্বৈরাচারে পরিনত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চাপিয়ে দিয়েছে। সমাজ, রাষ্ট্র ব্যবস্থার গণতন্ত্রায়ণের পরিবর্তে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা গত ১২ বছর ধরে ভোট ব্যবস্থাকে হাস্যকর করে ফেলেছে।