রবিবার ● ১ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থবাণিজ্য » বাজার সিণ্ডিকেট ও মাফিয়া সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ
বাজার সিণ্ডিকেট ও মাফিয়া সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ
ঢাকা :: আজ রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখী বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল বলেছেন বাজার সিণ্ডিকেটের দৌরাত্ম দেখে মনে হচ্ছে মুনাফাখোর অসৎ বাজার সিণ্ডিকেটসমূহ যেন সরকার চালাচ্ছে। দেশের মানুষকে তারা পুরোপুরি জিম্মি করে ফেলেছে। সরকারের মধ্যে যেন তারা আরেক সরকার কায়েম করেছে। সরকারের বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দেশ পরিচালনায় সরকারের রাজনৈতিক ও নৈতিক ক্ষমতা না থাকায় সামাজিক নৈরাজ্যের ভয়াবহ বিস্তৃতি ঘটছে। ক্ষমতাবানেরা কোন কিছুকেই পাত্তা দিচ্ছে না। হাজী সেলিম ও তার পুত্রের অশুভ তৎপরতা ক্ষমতার দম্ভ আর বেপরোয়া চরিত্রেরই প্রকাশ। লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলে আবার আগুনে পোড়ানো বল্গাহীন নৈরাজ্যেরই প্রমাণ। একই কারণে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ছত্রছায়ায় ধর্ষক, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী মাফিয়ারাও আজ বেপরোয়া। বস্তুত: এরা দেশটাকে দখল করে ফেলছে। তিনি বলেন, ভোটের অধিকার কেড়ে নেবার পর ভাতের অধিকারও কেড়ে নেয়া হচ্ছে। মানুষের মানসম্মান-ইজ্জতও আজ নিরাপদ নয়। তিনি বলেন, এরকম বেসামাল- নৈরাজ্যিক অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। তিনি এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে রাজপথে জনগণ ও সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানান।
সচিবালয়ের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাম জোটের সমন্বয়ক সিপিবি’র নেতা আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, মাহমুদ হোসেন, রাশিদা বেগম, মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, ইমরান হোসেন প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই দুর্নীতিবাজ, নিপীড়কদের রাজত্ব কায়েম হয়েছে। বিরোধীদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালানো হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ আজ জেগে উঠছে। রাজপথের লড়াইয়ের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় দেয়া হবে।
বাম জোটের সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল কাফি রতন বলেন, এই ফ্যাসিবাদী সরকার আজ জনগণের জানমাল নিরাপত্তার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথে ভোটের অধিকারসহ জনগণের বাঁচার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জোনায়েদ সাকি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বিদায় দিয়ে দেশের নতুন গণতান্ত্রিক ভবিষ্যত নির্মাণের আহ্বান জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির বৃহত্তর আন্দোলনের ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দেন।