শুক্রবার ● ১৬ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে
করোনা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ক্ষুধা ও দারিদ্র মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে
ঢাকা :: বাংলাদেশের খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক আকবর খান আজ এক বিবৃতিতে বিশ্ব খাদ্য দিবসকে ‘বিশ্ব ক্ষুধামুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন করোন মহামারীকালে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট মারাত্মক রূপ নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার্ত মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে। করোনার দুর্যোগ শুরু হওয়ার পর থেকে ইতিমধ্যে বিশ^ব্যাপী ২০ কোটিরও বেশী মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নিচে নেমে আসছে। মহামারি দুর্যোগ অব্যাহত থাকলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আরো কয়েক কোটি মানুষ চরম দারিদ্রসীমার নিচে নেমে আসবে। ক্ষুধা ও ক্ষুধাজনীত অপুষ্টির কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক লক্ষ লোকের মৃত্যু মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ইতিমধ্যে করোনা দুর্যোগে বাংলাদেশেই আড়াই থেকে তিন কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে এসেছে।
মহামারির এই দুর্যোগ অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক মাসে আরো বিপুল সংখ্যক মানুষ দারিদ্রসীমায় পতিত হবে। বাংলাদেশেও সরকার এই দুর্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ক্ষুধা নিবারণে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্র পৌছাতে পারেনি। সরকার যেটুকু উদ্যোগ নিয়েছিল সে সকল উদ্যোগও চুরি দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে ব্যর্থ হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিক পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থা, খাদ্য সামগ্রীর উপর কর্পোরেট নিয়ন্ত্রন এবং সর্বোপরি শোষণ ও বঞ্চনা নির্ভর বর্তমান ব্যবস্থা খাদ্য সংকটকে ধারাবাহিকভাবে প্রকট করে তুলছে। মুনাফা নির্ভর অনায্য এই বিশ্বপুঁজিবাদী ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে না পারলে এই সংকটের কোন সমাধান হবে না। বিশ্ব থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্রকেও দূর করা যাবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ খাদ্যের উপর জনগণের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করার আহ্বান জানান।