বৃহস্পতিবার ● ১৬ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও ব্যর্থতার দায় বর্তমান সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারেনা : বাম গণতান্ত্রিক জোট
স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও ব্যর্থতার দায় বর্তমান সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারেনা : বাম গণতান্ত্রিক জোট
ঢাকা :: বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ্ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশারফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক কমরেড হামিদুল হক আজ ১৬ জুলাই ২০২০ তারিখ সংবাদ পত্রে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও ব্যর্থতার জন্য এবং সাহেদ-সাবরিনা-মিঠু গংদের অপকর্মের দায় বর্তমান সরকার কোন ভাবেই এড়াতে পারেনা। রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ডিজি ও সচিবদের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর ও ভুয়া রিপোর্ট ইত্যাদি সমস্ত প্রক্রিয়াই আকুন্ঠ দুর্নীতিতে ভরা। তাছাড়া শুরু থেকেই করোনা মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতা, সমন্বয়হীনতা, বাগাড়ম্বরের কারণে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল রূপ ধারণ করেছে।
বিবৃতিতি আরও বলা হয়, এখন ব্যর্থতা, লুটপাট, দুর্নীতির দায় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর একে অপরের উপর চাপাতে চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এই দায় কোন ক্রমেই মন্ত্রী, সচিব, ডিজি, সহ সংশ্লিষ্ট কেউই এড়াতে পারেনা। এমনকি যার নির্দেশ ছাড়া কোন কিছুই হয় না, সেই প্রধানমন্ত্রীও এড়াতে পারেনা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রিজেন্ট গ্রুপের সাহেদ, জেকেজি গ্রুপের সাবরিনা যেমন ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে দুর্নীতি করেছে, তেমনি এই সরকারও দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে আছে। ফলে ভোট ডাকাত সরকারের মন্ত্রী, আমলা, দলের নেতাকর্মী সবাই আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। এদের দ্বারা স্বাস্থ্যখাত সহ অন্যন্য খাতের দুর্নীতি বন্ধ করা সম্ভব নয়, যতই জিরো টলারেন্স বলে চিৎকার করুক।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে কোন সিন্ডিকেট নেই। কিন্তু আগের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক বললেন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ে সিন্ডিকেট আছে এটা প্রধানমন্ত্রীও জানেন। তাহলে প্রশ্ন আসে, প্রধানমন্ত্রী কি ব্যবস্থা নিয়েছেন এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে? সরকার এবং দুই মন্ত্রীর মধ্যে কেউ একজন মিথ্যা কথা বলছেন, তাহলে একজন মিথ্যাবাদী কিভাবে মন্ত্রী হয়, এটাই জাতির প্রশ্ন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের এমন লেজেগুবরে অবস্থা যে সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন কথা বলছেন যা খুবই উদ্বেগের। তিনি বলছেন ইতালিতে যে ৩৩ জন করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছিল, তারা রিজেন্ট বা জেকেজি থেকে সার্টিফিকেট নেয়নি, অন্য হাসপাতাল থেকে নিয়েছে। কি ভয়ংকর, তবে কি বাংলাদেশে শুধু রিজেন্ট বা জেকেজি নয়, আরও অনেক প্রতারক প্রতিষ্ঠান আছে যারা করোনা ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে?
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, শুধু সাহেদ, সাবরিনা, আরিফ নয়, এদের প্রশ্রয়দাতা মদদদাতাদের গ্রেফতার ও শাস্তি নিশ্চৎ করতে হবে, তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী-আমলাদের অপসারণ ও লুটপাটের পাহাড়াদার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সকল প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দল ও ব্যক্তির প্রতি আহ্বান জানান।