বৃহস্পতিবার ● ১৭ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবিঘর » আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সাথে ৭ মার্চকে গুলিয়ে ফেলার অবকাশ নেই
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সাথে ৭ মার্চকে গুলিয়ে ফেলার অবকাশ নেই
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক আজ গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া জাতীয় দিবস সমূহের সাথে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন অপরাপর জাতীয় দিবসের সাথে ৭ মার্চকে একাকার করে দেখা বিবেচনাপ্রসূত নয়। তাছাড়া ৭ মার্চে সরকারি কোন ছুটিও ছিলনা।
তিনি বলেন, অন্যান্য জাতীয় দিবসের সাথে ৭ মার্চ বাতিলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্কের মধ্যে ঠেলে দেবে।
তিনি বলেন, বিশেষ পরিবারকেন্দ্রীক কয়েকটি দিবসের সাথে ৭ মার্চকে গুলিয়ে ফেলার কোন অবকাশ নেই। তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন ও তাদের গণহত্যার মত অপরাধের সাথে মুক্তিযুদ্ধ ও ৭ মার্চকে সম্পর্কিত করে দেখারও কোন সুযোগ নেই।তিনি বলেন, ১৯৭১ এর অগ্নিঝরা উত্তাল সময়ে ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, যা মুক্তিসংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ায় দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছিল, জনগণকে রাজনৈতিক দিশা দিয়েছিল।
তিনি বলেন, সংবেদনশীল ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোন রাজনৈতিক অবস্থান ঘোষণা ও সিদ্ধান্ত নেবার আগে দেশের যে মানুষ, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক অংশসমূহ অন্তর্বর্তী সরকারকে এককাট্টা সমর্থন জুগিয়ে আসছে তাদের মনোভাব, আকাংখা ও আবেগ বিবেচনায় নেয়া দরকার। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র,শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থান যে অসাধারণ গণঐক্য তৈরী করেছে এবং নতুন এক অন্তর্ভূক্তিমূলক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার অসীম সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে রাজনৈতিক ইতিহাসের ভুল ও পক্ষপাতদুষ্ট ব্যাখ্যায় তা নষ্ট করা আত্মঘাতী হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাসের যেমন অনেক অসাধারণ গৌরবজনক উত্তরাধিকার রয়েছে , তেমনি রয়েছে অনেক নির্মম নেতিবাচক উত্তরাধিকার। সবটাই আবার ইতিহাসের অংশ। ইতিহাসের নির্মোহ পর্যালোচনার ভিত্তিতেই স্বাধীন সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র হিসাবে গণতান্ত্রিক ধারায় বাংলাদেশকে তার আগামীর পথ চলা নিশ্চিত করতে হবে।