রবিবার ● ১২ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » ছবিঘর » করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতকে কোনভাবেই হরিলুটের প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশের মানুষ মেনে নেবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতকে কোনভাবেই হরিলুটের প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশের মানুষ মেনে নেবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
ঢাকা :: আজ ১২ জুলাই রবিবার সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের অনলাইন মিটিং এ নেতৃবৃন্দ বলেন করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসা কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যখাতে সীমাহীন চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অব্যবস্থাপনা গোটা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার লাগামহীন নৈরাজ্যকেই বারবার সামনে নিয়ে আসছে। দুর্নীতি আর প্রতারণার এসব ঘটনা দেশের মানুষকে চরমভাবে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ করে তুলছে। গোটা স্বাস্থ্যখাত এখন দুর্নীতির বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। কতিপয় চিহ্নিত দুর্নীতিবাজেরা মহামারীর দুর্যোগকে তাদের জন্য সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদেই গত চার-পাঁচ মাসে অবিশ্বাস্য সব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। লাইসেন্সবিহীন রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার চুক্তি, গত জুন মাসে প্রতারক সাহেদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের করোনা ভুয়া সার্টিফিকেট ও প্রতারণার সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি জানলেও সে ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেয়া, জিকেজি’র নজিরবিহীন প্রতারণা, স্বাস্থ্যখাতে এক ঠিকাদার মিঠুরই নয়শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী কেনাকাটায় অবিশ্বাস্য চুরি, দুর্নীতি ও জালিয়াতির অসংখ্য ঘটনা গণমাধ্যম প্রকাশ করলেও এসবের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত সরকারের কার্যকরি কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। জালিয়াত ও প্রতারকদের বড় বড় চাঁই এরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এই পরিস্থিতির দায়দায়িত্ব অবশ্যই সরকারকে বহন করতে হবে। তারা বলেন, মহামারীর এই দুর্যোগ স্বাস্থ্যখাতকে কোনভাবেই হরিলুটের প্রতিষ্ঠান হিসাবে দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
অনলাইন সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন নজিরবিহীন এসব জালিয়াতি, প্রতারণা, করোনার পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্টের কারণে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তলানীতে যেয়ে ঠেকেছে। ইতালীর প্রধানমন্ত্রী অভিবাসী বাংলাদেশীদেরকে ‘মানববোমা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিমান যাত্রী বাংলাদেশীদেরকে ইতালীতে নামতেই দেয়া হয়নি। ইতালীর পথ অনুসরণ করে জাপানসহ আরো কটি দেশ বাংলাদেশীদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এর মধ্যে কুয়েতে সরকারদলীয় সাংসদ পাপুলকে মানব পাচারসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার ও জেলে প্রেরণের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলাদেশ গুরুতর ভাবমূর্তির সংকটে নিপতিত হয়েছে। এসব ঘটনা বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় নিয়ে আসবে।
অনলাইন সভায় নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্য খাতসহ সকল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ ও জালিয়াতদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার, উপযুক্ত বিচার ও আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদেরও অবিলম্বে অপসারণ করে সমগ্র স্বাস্থ্যখাত পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যস্ত করার আহ্বান জানান।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে এই অনলাইন মিটিং এ রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল অংশগ্রহণ করেন।
নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।