সোমবার ● ১২ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » ছবিঘর » রাঙামাটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শুভেচ্ছা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
রাঙামাটিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির শুভেচ্ছা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
স্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত রাঙামাটিতে শুভেচ্ছা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ১২ আগষ্ট-২০২৪ ইংরেজি তারিখ সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার উচ্ছেদের মহানায়ক বৈষম্যবিরোধী বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুভেচ্ছা সমাবেশ করা হয়।
উক্ত শুভেচ্ছা সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম।
শুভেচ্ছা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল বড়ুয়া মিলন।
শুভেচ্ছা সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাঙামাটি পৌর কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান রানা, রাঙামাটি সদর উপজেলা কমিটির আহবায়ক এমেলী চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা।
দ্রব্যমূল্যে ক্রমাগত ঊর্ধগতি রোধ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শুভেচ্ছা সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ভলান্টারি মুভমেন্ট কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন।
শুভেচ্ছা সমাবেশের প্রধান অতিথি নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা হলেন জনগণের সেবক,বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রার্থীরা রাঙামাটি-২৯৯ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাঙামাটি পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন তাই এ জেলার জনসাধারনের কাছে আমাদের জবাবদিহীতা করা এবং বাংলাদেশে গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পতনের পর আমাদের পার্টির অবস্থান জনগণের কাছে তুলে ধরা প্রয়োজন, জনগণের কাছে আমরা দায়বদ্ধ।
তিনি , ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালিন সরকারকে স্বাগত জানান এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই সরকার গণজাগরণ - গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করবে।
তিনি আরো বলেন, গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার উচ্ছেদের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে এ সরকার হচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধীত রাজনৈতিক দল সমুহের সমর্থীত, ছাত্র-জনতার এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সমর্থীত সরকার, এ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সমর্থন রয়েছে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যার বিচার করতে হবে। নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
দেশে কারো ওপর কোনো হামলা করা যাবে না, পুলিশ বাহিনীসহ জনগণের জানমাল ও রক্ষা করতে হবে।
আওয়ামী দুঃশাসনে দ্রব্যমূল্যে ক্রমাগত ঊর্ধগতি রোধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিহীনদের নামে ভূমি বন্দোবস্ত ব্যবস্থা দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করতে হবে।
আর যারা ভূমিদস্য ও দুনীতিবাজ তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
প্রধান অতিথি নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনসহ আওয়ামীলীগ দলীয় লোক দিয়ে রাঙামাটি জেলার প্রতিটি প্রশাসন চলছে, অতি দ্রুত রাঙামাটি জেলা প্রশাসনকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধীত রাজনৈতিক দল সমুহের, আলেম সমাজের এবং ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে রাঙামাটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে মতামত গ্রহনের আহবান জানান। এসময় তিনি বলেন, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, এদেশের জনগণ ২য় বার স্বাধীনতা লাভ করেছে, স্বৈরাচার উচ্ছেদের পর বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, নতুন এই সরকারকে ব্যর্থ করারও বহুমুখী তৎপরতা চলছে। তিনি এসব অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে রাঙামাটিবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, গত ১৫ বছরে যে ময়লা-আবর্জনা জমা হয়েছে তা পরিস্কার করতে কোদালের কোন বিকল্প নাই।
এসময় তিনি ঘোষনা দেন, রাঙামাটিতে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ চলবে, দেশ সেবায় যুক্ত হতে সাধারন জনগণকে তিনি আহবান জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত শুভেচ্ছা সমাবেশে জেলা, সদর উপজেলা, পৌরসভা কমিটি ও ভূমিহীন সংহতির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা সমাবেশ সঞ্চলনা করেন পার্টির রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক জুঁই চাকমা।