বুধবার ● ২৯ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » অবৈধ তফসিল বাতিল ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে সর্বাত্মক অবরোধ পালনে মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ
অবৈধ তফসিল বাতিল ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে সর্বাত্মক অবরোধ পালনে মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ
আজ ২৯ নভেম্বর-২০২৩ বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর ৭ম দফায় ২৪ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধ পালনে দফায় দফায় মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে সামনে থেকে মিছিল শুরু করে দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে বিজয়নগর ঘুরে পুরানা পল্টন মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এবং সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই অবৈধ সরকারের সহযোগী হয়ে ইতিহাসের চরমতম তামাশার নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যেখানে সরকারপ্রধান কতৃক প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বিনাভোট ঠেকাতে ডামি প্রার্থী দাড়া করানো হচ্ছে। নামসর্বস্ব দলকে নিবন্ধন দিয়ে ‘কিংস পার্টি’ বানিয়ে তাদেরকে নির্বাচনে এনে নির্বাচনকে এক তামাশায় পরিনত করা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চ বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে এই তামাশার নির্বাচন প্রতিহত করবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন আয়োজনের নাটক মঞ্চায়ন করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, অগ্নি সন্ত্রাস, ককটেল সন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য পথ অবলম্বন করেছে সরকার। বিগত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে লাগাতারভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। আদালতকে ব্যবহার করে নজিরবিহীনভাবে রাতের বেলায় কোর্ট চালিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদেরকে ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা ঘোষণা করেছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এখন তারা রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে হুমকি-ধামকি ও নানারকম লোভ-লালসা দিয়ে বিরোধী দলগুলো থেকে নেতাকর্মী ভাগিয়ে নির্বাচনে নেয়ার অপচেষ্টা করতেছে। তাদের পোষা মিডিয়া ব্যবহার করে আন্দোলনের শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু এসব করে শেষ রক্ষা হবে না। এইবার তারা কোনভাবেই ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো বিনাভোটের কিংবা রাতের ভোটের নির্বাচন করতে পারবে না। নির্বাচন-নির্বাচন খেলার জন্য জনগণের প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয় করার কোন ন্যায্যতা নাই। বিরোধীদের ছোট একটা অংশকে যদি নির্বাচনের লোভ দেখিয়ে পাতানো ফাঁদে নিতেও পারে আর বাকিদের সবাইকেও যদি জেলে পুরে রাখে তারপরও বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। যারা আজকে লোভে পড়ে নির্বাচনে অংশ নিবে জাতির সামনে বেঈমান, মীরজাফর ও দালাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ ভোটাধিকারের এই আন্দোলন জারি রেখেই এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে ঘরে ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।
মিছিল-সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম প্রমুখ।