বুধবার ● ১৫ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » প্রহসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা জনগণ মেনে নেবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ
প্রহসনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা জনগণ মেনে নেবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ
আজ ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ বুধবার গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জোট ও দলগুলোর ৫ম দফায় ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। পুরানা পল্টন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন কার্যালয়ের সামনে সামনে থেকে মিছিল শুরু করে বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন ঘুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন মঞ্চের নেতৃবৃন্দ।
নাগরিক ঐক্যর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এর সভাপতিত্বে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম এ কবীর হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণতন্ত্র মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। মিছিল-সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, নাগরিক ঐক্য’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখারুল ইসলাম নবাব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশ প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, কোন নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর কাছে নয়। তারা নিজেরাই কয়েকদিন আগে বলেছেন, দেশে নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নাই। তাই তাদের কাছে আহ্বান, তারা যেনো সাংবিধানিক এখতিয়ার পালনের মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মতো হটকারিতায় না যায়, কারণ সেটা হবে জাতির আকাঙ্ক্ষার সাথে বেঈমানী। নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের পক্ষে থেকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা স্থগিত রাখুন। নেতৃবৃন্দ পরিস্কার করে বলেন যে, দেশে আর একটি নীলনকশা পাতানো নির্বাচন জনগণ কোনভাবেই মেনে নেবে না। সরকার ও সরকারি দল যদি তারপরও জবরদস্তি করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পাঁয়তারা অব্যাহত রাখতে চায় তাহলে সিইসিসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের কাজ হবে নৈতিক ও বিবেকের দায় নিয়ে অনতিবিলম্বে নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করা। কারণ দেশ ও দেশের মানুষ কোনভাবেই আর একটি ব্যর্থ, অকার্যকর ও তামাশার নির্বাচনের দায় নিতে পারবেনা।
এসময় নেতৃবৃন্দ হুশিয়ার করেন, সরকার একতরফা নির্বাচনে আয়োজনে চেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের সকলকে গণদাবীর পক্ষে থাকার আহনান জানান, অন্যথায় তাদের জনগণের কাঠগড়ায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে৷