বুধবার ● ২৬ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » জবাবদিহিহীন স্বেচ্ছাচারী অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই
জবাবদিহিহীন স্বেচ্ছাচারী অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া জনগণের মুক্তি নেই
গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ( কনফারেন্স লাউঞ্জ) “কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন - সংকট উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যমান সংকটের উৎস মাফিয়া নিয়ন্ত্রিত রাজনীতি ও অর্থনীতি।রাজনৈতিক ক্ষমতা কে লুটপাটের সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জোর করে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে সরকার সরকারি দল দেশ থেকে ভোটের ব্যবস্থাই তুলে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন তার গণতান্ত্রিক বিসর্জন দিয়ে মানুষের ভোট ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গোটা এই স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবঅসান ঘটাতে গণতন্ত্র মঞ্চ ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব হাজির করেছে।
গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।
আলোচনা সভার সভাপতি সাইফুল হক বলেন, ধারাবাহিক কর্তৃত্ববাদী শাসন রাষ্ট্রের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেংগে দিয়েছে। বাংলাদেশকে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পরিবর্তে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে ভয়ংকর নিপীড়নমূলক রাষ্ট্রে পরিনত করা হয়েছে; দমনমূলক ও ভীতিকর , জবাবদিহিহীন একচ্ছত্র ক্ষমতা কাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। এই ব্যবস্থার পরিবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্যই গণতন্ত্র মঞ্চের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।
আ স ম আবদুর রব বলেন, এই অবৈধ ভোট ডাকাত সরকারকে দেশের মানুষ এবার বিদায় করবে।আমরা নিছক ক্ষমতার জন্য সরকারের বদল চাই না, আমরা এবার ব্যবস্থার বদল ঘটাতে চাই।কেঊ বিশ্বাদঘাতকতা করলে তাকে বিচারের কাটগডায় দাঁড় করানো হবে।
মাহমুদূর রহমান মান্না বলেন, ২৭ তারিখ থেকে ঢাকা যে অচল হয়ে যেতে পারে সরকার এই ভয় পাচ্ছে। দেশে এমন কিছু হচ্ছে যা পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।আমরা এবার জনগণের সত্যিকারের পরিবর্তনের জন্য লড়াই করছি।আগামী ২৭ তারিখ থেকে সবাইকে জানবাজি লড়াই এ নামতে হবে।
জোনায়েদ সাকি বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করেন ; এর উপর ভিত্তি করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।কিন্তু দমন নিপীড়ন চালিয়ে এবার আর ক্ষমতায় থাকা যাবেনা। ২৭ জুলাই সবাইকে তিনি রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা এবার এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে বিদায় দেবার পাশাপাশি সমগ্র অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থাকেও বিদায় দেব।জনগণের আকাঙ্ক্ষার সরকার ও শাসনব্যবস্থা কায়েম করব
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ৭২ সাল থেকেই পদদলিত হয়েছে, স্বাধীন দেশের শাসন ব্যবস্থাও ছিল পাকিস্তানি জমানার মত।এবার আমরা ৩১ দফা দিয়েছি এই জবাবদিহিহীন ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য।এই লড়াই আমরা শেষ অব্দি এগিয়ে নেব।