সোমবার ● ১০ জুলাই ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » তথ্য ফাঁসের কারণে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে
তথ্য ফাঁসের কারণে জনগণের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এখন চরম ঝুঁকির মধ্যে
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, সরকার ও সরকারি সংস্থাসমূহের অব্যবস্থাপনা ও অপেশাদারিত্বের কারনেই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্যাদি ফাঁস হয়ে পড়েছে।একারণে নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা চরম ঝুঁকির মধ্যে নিপতিত হয়েছে। তিনি মানুষের তথ্য - উপাত্ত ফাঁসের এই ঘটনাকে সরকারের চরম দায়িত্বহীনতার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং এসব ঘটনা থেকে বোঝা যায় জনগণের একান্ত নিজস্ব তথ্যাদি যে কত বেহাল অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন তথ্য ফাঁসের এতবড় ঘটনা আমাদেরকে বাইরের সোর্স থেকেই জানতে হয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য ফাঁসের এই অনাকাঙ্ক্ষিত মারাত্মক ঘটনা বহু মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে; অনেক ঘটনা - দূর্ঘটনারও আশংকা থাকে। নাগরিকেরা নানাভাবে হয়রানি ও ব্লাকমেইলিং এর শিকার হতে পারেন।
তিনি অনতিবিলম্বে তথ্য ফাঁসের ঘটনা দূর করতে জরুরিভাবে যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি নাগরিকদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নিশ্চয়তাসহ সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
আজ সকালে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
নারায়ণগঞ্জে পার্টির অস্থায়ী জেলা কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান টিপু, জেলা কমিটির সদস্য শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান আংগুর, নাসির হোসেন, আইয়ুব আলী, মোহাম্মদ আলী, মোক্তার হোসেন,সেলিনা আক্তার, খোকন রাজ প্রমুখ।
সভায় আকবর খান গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের কর্মসূচী তুলে ধরে আগামীকাল ১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকা - চট্টগ্রাম রোডমার্চ সফল করার আহবান জানান। তিনি ১৯ জুলাই নারায়নগঞ্জে রোড মার্চ এর সমাবেশ সফল করারও আহবান জানান।
সভার শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সিরাজুল আলম খান ও বাম জোটের নেতা বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে অনতিবিলম্বে শ্রমিকদের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালু করার দাবি জানানো হয়।