বুধবার ● ২৮ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » জনগণের ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম অচিরেই এই সরকারকে বিদায় দেবে : গণতন্ত্র মঞ্চ
জনগণের ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম অচিরেই এই সরকারকে বিদায় দেবে : গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি আই পি লাউঞ্জে “রাজনৈতিক সংকট, চলমান গণআন্দোলন ও জনপ্রত্যাশা ” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১৫ বছরের দুঃশাসনে দূর্নীতিবাজ ও দুর্বত্তরা পরাক্রমশালী হয়ে উঠেছে, রাজনীতির দূর্বৃত্তায়ন ঘটেছে। ভোটের ব্যবস্থা ও নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের রাস্তা বন্ধ করে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রের অবশিষ্ট ন্যুনতম গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেংগে দিয়েছে। সরকার ও সরকারি দল এই সময়কালে দেশে আদিম লুটপাটের এক স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছে। এখন তারা তাদের সীমাহীন অর্থবিত্তের নিরাপত্তার আতংকে ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারি দল গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে যেয়ে দেশের নিরাপত্তাও বিপন্ন করে তুলছে, দেশে বাইরের হস্তক্ষেপের পথ তৈরী করছে। সেন্টমার্টিন লীজের কথা বলে তারা আন্দোলনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে নিজেদের রক্ষা করতে তিনি চায়।
তারা বলেন, জনগণের সম্মতিহীন এই সরকারকে দেশের মানুষ আর কোনভাবেই নিতে পারছে না। অতি দ্রুত এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।তারা ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা সহ পরিবর্তনের একেবারে ন্যুনতম ইস্যুতে রাজপথে সকল বিরোধী দল ও জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জাতীয় ফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ ফয়জুল হাকিম, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী, গণফোরাম এর প্রচার ও তথ্য বিষয়ক মঈনুদ্দিন মধু এবং গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহবায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম। সভা পরিচালনা করেন জেএসডি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা শহীদুল্লাহ্ কায়সার, বহ্নিশিখা জামালী, সিরাজ মিয়া, হাবিবুর রহমান রিজু, বাচ্চু ভূইয়া, হাসিবউদ্দিন হাসিব প্রমুখ।
সভার সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, এই সরকার ও তাদের দূর্নীতিবাজদের পালিয়ে যেতে দেয়া যাবেনা।সকল অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।
শরীফ নূরুল আম্বিয়া বলেন, প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকেরা এখন রাজনীতি আর ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পডেছে। তিনি আন্দোলনের পথে এই সরকারকে বিদায় দেবার ডাক দেন।
টিপু বিশ্বাস সরকার হটানোর পাশাপাশি লুটেরা ব্যবস্থা পরিবর্তনের সংগ্রাম জোরদার করার আহবান জানান।
মাহমুদূর রহমান মান্না বলেন, সরকার নানা কৌশলে ক্ষমতায় থেকে যেতে চায়।কিন্তু মানুষ এবার এই সরকার বিদায় দিতে বদ্ধপরিকর।
সাইফুল হক বলেন, বাইডেন - মোদি বৈঠক থেকেও এই সরকারের জন্য কোন ভালো খবর আসেনি।ভারতও এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যেয়ে ২০১৪ আর ২০১৮ সালের মত এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এগিয়ে আসবেনা।
জোনায়েদ সাকি বলেন, এই সরকারের পায়ের নীচে আর মাটি নেই।গণ আন্দোলনের পথে এবার এই ফ্যাসিবাদ বিদায় দিতে রাজপথে যুগপৎ ধারায় বিরোধী দলসমূহের ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রাম জোরদার করতে হবে।
ফয়জুল হাকিম বলেন, এই ফ্যাসিস্ট শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; জনগণের পক্ষের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র মঞ্চ আপোষহীন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই থেকে বিচ্যুত হবার কো সুযোগ নেই।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে না পারলে স্বৈরতন্ত্র আবার ফিরে আসবে।সে কারণে আন্দোলনকে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে নিতে হবে।
বাবুল সরদার চাখারী গণতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে রাজপথে থাকার ঘোষণা প্রদান করেন।
মঈনুদ্দিন মধু গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর পক্ষ থেকে গনতন্ত্র মঞ্চের আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং বলেন, গণফোরামও এই আন্দোলনে বলিষ্ঠভাবে অংশ নেবে।