বুধবার ● ৮ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » নারী অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত না হলে সভ্য ও গণতান্ত্রিক বলে দাবি করা চলে না
নারী অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত না হলে সভ্য ও গণতান্ত্রিক বলে দাবি করা চলে না
আজ সকালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন, নারীর অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত না হলে কোন দেশ ও সমাজকে গণতান্ত্রিক ও সভ্য বলা যাবেনা। নারীর গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার অধিকার ছাড়া দেশের অগ্রগতির কোন সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, এদেশেও নারী দ্বিবিধ শোষণ - বঞ্চনার শিকার ; পুরুষতন্ত্র ও শ্রেণী শোষণ - নারীর হাতে পায়ে বেডির মত।এই দুই শৃংখল নারীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক করে রেখেছে। ভোটের অধিকার না থাকায় নারী আরও ক্ষমতাহীন হয়েছে।পুঁজিবাদী ভোগবাদী সংস্কৃতি নারীকে পণ্য করে তুলেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম নারীকে সুবিধা না দিয়ে উল্টো নানা দিক থেকে বিপদগ্রস্ত করে তুলেছে।
তিনি নারীর অধিকার ও মুক্তি নিশ্চিত করতে নারীবিদ্বেষী সকল ধরনের প্রচারণা বন্ধের দাবি জানান। তিনি নারীর পোশাক নিয়ে যাবতীয় কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও প্রচারণা প্রতিরোধ করারও আহবান জানান।
শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি নারী নেত্রী বহ্নিশিখা জামালীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহসভাপতি রাশিদা বেগম, সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, কেন্দ্রীয় নেতা ফারজানা ইয়াসমিন, সেলিনা বেগম, ফাতেমা খাতুন, সংহতি বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সাইফুল ইসলাম, মীর রেজাউল আলম।
অনুষ্ঠানে নারীমুক্তির গান পরিবেশন করেন এপোলো জামালী, কবিতা আবৃত্তি করেন তিথি সুবর্ণা, দূর রে মাকনুন নিধি।
সভাপতির বক্তব্যে বহ্নিশিখা জামালী বলেন,ঘরে, সডকে,মহাসড়কে, কর্মস্থলে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়।গরীব ও শ্রমজীবী নারীরাই বেশী হত্যা ধর্ষণের শিকার।গরীব বলে বেশিরভাগ নারীরা চরম অবিচার আর লাঞ্চনার শিকার।অভিবাসী শ্রমজীবী নারীদের কোন নিরাপত্তা নেই।প্রতিদিন গড়ে ১০ জন অভিবাসী নারীর লাশ আসছে।আর বাজারের আগুনে সবচেয়ে বেশী পুড়ে মরছে নারীরা
তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ নেত্রীরা দৈহিক গঠনে নারী হলেও বাস্তবে তাদের চোখ ও দৃষ্টিভংগী পুরুষদের।
তিনি এই অবস্থা পরিবর্তনের নারী আন্দোলনের কাফেলা আরও জোরদার করার ডাক দেন।