সোমবার ● ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » ছবিঘর » দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং রাঙামাটিতে ভূমি জরিপ শুরু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও ভূমিহীন সংহতি
দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো এবং রাঙামাটিতে ভূমি জরিপ শুরু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও ভূমিহীন সংহতি
স্টাফ রিপোর্টার :: আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ ইংরেজি সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সারা দেশ ব্যাপী বিদ্যুৎ-গ্যাস-জ্বালানি ও চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাতার দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ভূমিহীনদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ ভূমিহীন সংহতি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটি।
মানববন্ধন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সভাপতি মো. আবুল হাশেম।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কমপক্ষে মাসিক খরচের তালিকায় চাউল ১ বস্তা ৩ হাজার ৫শত, তৈল ৫ লিটার ১ হাজার, বাসা ভাড়া ১৫ হাজার, সবজি বা তরকারী ৩ হাজার ৫শত, মাছ ৫ হাজার, গ্যাস সিলিন্ডার ১ হাজার ৮শত, প্রসাধনী ১ হাজার, মুদি বাজার ৫ হাজার, বিদ্যুৎ বিল ২ হাজার, মোবাইল খরচ ১ হাজার, সর্বমোট ৩৮ হাজার ৮শত টাকা টাকা প্রয়োজন। সাথে বাচ্চাদের পড়াশুনা, চিকিৎসা খরচ, যাতায়ত খরচের কথা বাদ দিলাম।
যাদের বেতন ১৫ হাজার, যাদের বেতন ২০ হাজার, যাদের বেতন ২৫ হাজার, যাদের বেতন ৩০ হাজার, যাদের বেতন ৩৫ হাজার টাকা কি করবে তারা?
হাত খরচ,যাতায়ত খরচ বাদ দিলাম। তিনি বলেন, দাবি আমাদের একটাই “নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কমান” দেশ বাচাঁন, দেশের মানুষ বাচাঁন।
তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলায় প্রত্যাকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে অতিমাত্রায় দলীয় করণ করার কারণে দুবৃত্তের জন্ম হয়েছে অবাধে চলছে ঠিকাদারী আর দুর্নীতি এটা অনতিবিলম্বে বন্ধ করুন এবং দুবৃত্তদের তালিকা তৈরী করুন আর না পারলে আমাদের সহযোগিতা নিতে পারেন।
নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, দেশে গরিব মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার পথ প্রায় বন্ধ। রাঙামাটি জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস অনেক ভাল কাজ করছেন। রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে বিনা টাকা গরিব মানুষরা ন্যায় বিচার পাচ্ছিন কিন্তু স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা আর কিছু উকিল সাহেবরা মিলে
রাঙামাটি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কথা শোনা যাচ্ছে। যে বা যাঁরা লিগ্যাল এইড অফিসারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তারা গণশত্রু। সবার আগে একজন আইনজীবি একজন মানবধিকার কর্মী এবিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।
তিনি অবিলম্বে পাহাড়ি-বাঙ্গালী ভূমিহীনদের ভোগান্তি বন্ধ করার আহবান জানান এবং দিয়ারা সেটেলমেন্ট এর মাধ্যমে রাঙামাটি জেলায় ভূমি জরিপ শুরু করার দাবি জানান।
এসময় তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করার দাবি জানান। ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণসংগ্রাম জোরদার করার আহবান জানান গণতন্ত্রপন্থী জনগণের প্রতি।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় নেতা নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়। জনগণের প্রতি রাঙামাটি জেলার সকল প্রশাসন,আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের প্রতি দলীয় নেতা-কর্মী বা ক্যাডারদের মত আচরণ না করার অনুরোধ জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ ভূমিহীন সংহতি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির সদস্য সচিব জুঁই চাকমা এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পৌর কমিটির আহবায়ক মো. আব্দুল মান্নান রানা প্রমূখ।
মানববন্ধনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ ভূমিহীন সংহতি রাঙামাটি পার্বত্য জেলার আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক রবিধন কারবরী, সদস্য আহাম্মদ আলি, প্রীতি বিকাশ চাকমা, শিখা চাকমা, বকুল বড়ুয়া, জিনা চাকমা, রেনুকা চাকমা, পতলা চাকমা, মুক্তা বড়ুয়া, ছায়া রানী চাকমা, রুপনা চাকমা,অরুনজিতা চাকমা,নিরুপা চাকমা,নমনিকা চাকমা,অমলিকা চাকমা, নৈরঞ্জনা চাকমা,সুজাতা চাকমা, আরতি চাকমা, চম্পা চাকমা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি এমিলি চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক সবিনা চাকমা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জগৎমিত্র চাকমা, সুমনা চাকমা, সদস্য লক্ষীধন চাকমা ও সীমান্দীনি চাকমা প্রমূখ উপস্থিত ছিলন।