শুক্রবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » ছবিঘর » সংকট উত্তরণে সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহবান
সংকট উত্তরণে সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহবান
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সাইফুল হক বলেছেন প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের অপরাজনীতি দেশকে ক্রমে ভয়ংকর বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের অনুসৃত বিভক্তি, বিভাজন, ঘৃণা আর বিদ্বেষের রাজনীতি দেশে এক ধরনের গৃহযুদ্ধাবস্থার বিপদ বাড়িয়ে তুলছে। এই পরিস্থিতি অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তুলছে।দেশে রাজনৈতিক জুয়াড়িরা এখন বেপরোয়া। দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মাফিয়াদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম হয়েছে। সুবর্ণজয়ন্তীর বাংলাদেশে যখন দেশ ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎকে নিষ্কন্টক করার প্রশ্ন তখন সরকারের পোড়ামাটি নীতি কৌশল দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট কেবল আরও গভীর করে তুলছে।
তিনি বলেন, নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ করে রাখলে দেশের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি এই সংকট উত্তরণে দেশের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তির রাজপথের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দেন। তিনি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের ন্যূনতম দাবির ভিত্তিতে আন্দোলনের শক্তিসমূহের মধ্যে সমন্বিত ও যুগপৎ ধারায় আন্দোলন বিকশিত করার আহবান জানান।
আজ ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে পার্টির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত আহবান জানান।
উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী,আকবর খান,আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল।
এর আগে জাতীয় সংগীত ও শোক প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে পার্টির গঠনতন্ত্র,পার্টির তহবিল , কেন্দ্রীয় গাইডলাইন, বিপ্লবী নেতৃত্বের বৈশিষ্ট সহ পার্টি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি আলোচিত হবে।